ভিআইপি গ্রাহকের জন্য ব্যাংকিং সময়ের পরও ভল্ট খুলে টাকা দেওয়া হয়
ইউনিয়ন ব্যাংকের ভল্টের টাকার হিসাব না মেলার বিষয় নিয়ে ব্যাংকটির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এই চিঠি পাঠিয়েছে।
এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, ব্যাংকটির কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। এর পরই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ব্যাংকটি জানিয়েছে, ব্যাংকিং সময় শেষ হওয়ার পর একজন গ্রাহককে ভল্ট খুলে ১৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ওই সময়ে ব্যাংকের ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিস্টেম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হিসাবটি সমন্বয় করা যায়নি। ওই গ্রাহককে ভিআইপি গ্রাহক বলে দাবি করছে ব্যাংকটি।
গত সোমবার ইসলামি ধারায় পরিচালিত বেসরকারি খাতের ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখায় পরিদর্শনে গিয়ে ব্যাংকটির ভল্টের হিসাবে গরমিল দেখতে পান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা। কাগজপত্রে ওই শাখার ভল্টে যে পরিমাণ টাকা থাকার তথ্য রয়েছে, বাস্তবে তার চেয়ে প্রায় ১৯ কোটি টাকা কম পাওয়া যায়। শাখাটির নথিপত্রে দেখানো হয়েছে, ভল্টে ৩১ কোটি টাকা রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে গুনে পেয়েছেন ১২ কোটি টাকা। বাকি ১৯ কোটি টাকার ঘাটতি সম্পর্কে শাখাটির কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শক দলকে যথাযথ কোনো জবাব দিতে পারেননি তাঁরা।
নিয়ম অনুযায়ী, ভল্টের টাকার গরমিল থাকলে তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাতে হয়। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত ব্যাংকটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে এ ধরনের কোনো অভিযোগ করেনি বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের দিক থেকেও বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হয়নি। তবে ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।