আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বিশ্বের কোথাও ভল্ট থেকে টাকা কমে যাওয়া বা বের করে নেওয়া সম্ভব নয়। যদি ব্যাংক ডাকাতি হয়, সেটা আলাদা বিষয়। বাংলাদেশের ভল্টে টাকা কমে যাওয়ার ঘটনায় আমানতকারীর আস্থায় চিড় ধরবে। ব্যাংকটি এভাবে টাকা কমে যাওয়ার জন্য যৌক্তিক কোনো কারণ দেখাতে পারবে না।
যখন টাকা কমে যাওয়ার ঘটনা ধরা পড়ে, তখনই শাখাটি বন্ধ করে জড়িত ব্যক্তিদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া উচিত ছিল। তাহলে আমানতকারীরা ভাবত, ব্যবস্থা হচ্ছে। যার হাতে ভল্টের চাবি, সে কেন বিষয়টি আগেই জানাল না।
ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের নিচেই গুলশান শাখা। এমন একটি শাখায় যখন এই ঘটনা, তখন বুঝতে হবে প্রধান কার্যালয়ও বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত ছিল। তাই বিষয়টিকে হালকাভাবে দেখলে হবে না।
ইউনিয়ন ব্যাংক প্রচলিত ধারার চতুর্থ প্রজন্মের একটি ব্যাংক। ব্যাংকটি কিছুদিন আগে ইসলামি ধারায় রূপান্তর করা হলো। তাহলে ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থার নীতিনৈতিকতা কোথায় গেল, এটা বড় প্রশ্ন।
আগে ভুয়া ঋণ, ভুয়া ঋণপত্রের মাধ্যমে টাকা বের করার ঘটনা অনেক শোনা গেছে, কিন্তু ভল্ট খালি করে ফেলার কথা শোনা যায়নি।
এটা মনে রাখতে হবে, চোর ধরতে গিয়ে নিরপরাধ কেউ যেন শাস্তি না পায়। খুঁজে বের করতে হবে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের।