বাংলাদেশ ব্যাংকে নতুন দুই ডেপুটি গভর্নর নিয়োগ
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর হিসেবে নতুন দুজন নিয়োগ পেয়েছেন। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক কাজী ছাইদুর রহমান ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম সাজেদুর রহমান খান।
আজ রোববার বেলা ২টার দিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব মো. জেহাদ উদ্দিন সাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাঁদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। ৬২ বছর বয়স পর্যন্ত তাঁরা ডেপুটি গভর্নরের দায়িত্বে থাকতে পারবেন। সেইহিসাবে কাজী ছাইদুর রহমানের ৬২ বছর হবে ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি এবং এ কে এম সাজেদুর রহমান খানের ৬২ বছর হবে ২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি।
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকে দুজন ডেপুটি গভর্নর রয়েছেন। এই দুজনকে নিয়ে বাংলাদেশে ব্যাংকে এখন ডেপুটি গভর্নর হলেন চারজন। এর ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরের চারটি পদই এখন পূরণ হলো।
অবশ্য এই চারজনের মধ্যে এস এম মনিরুজ্জামানের মেয়াদ আগামী মাসে শেষ হবে। ২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর তিনি ডিজি হিসেবে নিয়োগ পান, পরে এক দফা বাড়িয়ে তাঁকে বয়স ৬২ বছর হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাঁর আর ডিজি থাকার সুযোগ নেই। আরেক ডিজি আহমেদ জামালের ৬২ বছর পূর্ণ হবে ২০২৩ সালের ৩০ জুন। এস এম মনিরুজ্জামানের জায়গায় আগামী মাসে নতুন ডিজি নিয়োগ নিয়ে তৎপরতা শুরু হতে পারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিজি পদ পূরণের জন্য তিন দফায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। ডিজি নিয়োগে গঠিত সার্চ কমিটি একবার মৌখিক পরীক্ষাও নেয়। তবে সরকার তখন কাউকে নিয়োগ দেয়নি। এবার সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে দুই ডিজি নিয়োগ দেওয়া হয় এবং এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরেরও সায় ছিল বলে জানা গেছে। ডিজি নিয়োগের সময় এবারও আগের মতো ব্যবসায়ীদের তৎপরতা লক্ষ করা গেছে। তবে সরকারের সিদ্ধান্তে সেই তৎপরতার প্রতিফলন ঘটেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা সাধারণত নির্বাহী পরিচালক পর্যন্ত পদোন্নতি পেয়ে থাকেন। শীর্ষ দুই পদ ডেপুটি গভর্নর ও গভর্নর নিয়োগ দেয় সরকার। ২০১৬ সালে রিজার্ভ চুরির ঘটনার পর দুই ডিজিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে দুই ডিজি দিয়েই কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলছিল। গতকাল চার ডিজির পদ পূরণ হলো। নতুন ডিজিরা চলতি সপ্তাহেই যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।