২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

‘নগদ’ পরিচালনায় আলাদা কোম্পানি গঠিত হচ্ছে

মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এর কার্যক্রম পরিচালনায় আলাদা কোম্পানি গঠিত হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শ ও বিধিবিধান মেনেই এই সেবা পরিচালিত হবে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গতকাল বৃহস্পতিবার নগদ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান। সাংবাদিকদের নিয়ে রাজধানীর একটি হোটেলে নগদ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অনলাইনে যোগ দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ডাক বিভাগের সঙ্গে চুক্তির আওতায় মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা নগদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি। নগদের কার্যক্রম পরিচালনায় আলাদা কোম্পানি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধিবিধান মেনে এ সেবা দেওয়া হবে। আমরা মনে করি, সব ধরনের আর্থিক লেনদেন নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। এটা আমরা সম্পূর্ণভাবে মেনে চলতে চাই।’

উল্লেখ্য, বর্তমানে পোস্টাল আইনের আওতায় পরিচালিত হচ্ছে নগদ। তবে এ ধরনের অন্য সব আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে।

মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, ‘আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে নগদ টাকার ব্যবহার কমিয়ে আনতে চাই। এ জন্য ডিজিটাল আর্থিক সেবার প্রসার ঘটাতে হবে। আমরা সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের জন্য আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর আহমেদ, নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম ও পরিচালক মো. রেজাউল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

নগদের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে পোস্টাল আইনের আওতায় ডাক বিভাগের সঙ্গে থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের চুক্তির ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে নগদ। যেখানে ৫১ শতাংশ মালিকানা রয়েছে ডাক বিভাগের। আর ৪৯ শতাংশ থার্ড ওয়েভের। বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্তর্বর্তীকালীন অনাপত্তি নিয়ে এখন কার্যক্রম চলছে। এখন চূড়ান্ত লাইসেন্স পাওয়ার কাজ চলছে। দেশে বর্তমানে নগদের গ্রাহকসংখ্যা ২ কোটি ১৯ লাখ। নগদের হিসাবে কেউ টাকা রাখলে এর বিপরীতে ডাকঘর সঞ্চয় বন্ডের সাধারণ হিসাবের মতো সাড়ে ৭ শতাংশ সুদ পান।

নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ বলেন, নগদ পরিচালনায় সব ধরনের বিনিয়োগ করেছে থার্ড ওয়েভ। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বিনিয়োগ করা হয়নি। নতুন কোম্পানি গঠন করে পরিচালিত হলে নিশ্চয়ই সরকারও বিনিয়োগ করবে।
অনুষ্ঠানে নগদ থেকে টাকা উত্তোলনের মাশুল প্রতি ১ হাজারে ৯ টাকা ৯৯ পয়সায় নামিয়ে আনার ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে অ্যাপসের মাধ্যমে প্রতি হাজার উত্তোলনে ১১ টাকা ৪৯ পয়সা ও অ্যাপস ছাড়া প্রতি হাজার উত্তোলনে ১৪ টাকা ৯৪ পয়সা খরচ হবে।