এবারে ঋণ পরিশোধে আগের মতো গণহারে সুবিধা দেওয়া হবে না। তবে ছোট উদ্যোক্তারা আরও কিছুদিন ঋণ শোধে ছাড় পাবেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত ব্যাংকার্স সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ঋণের ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ পরিশোধ করলেও খেলাপি হবে না—এই সুবিধা কেবল সিএমএসএমই খাত, অর্থাৎ ছোট উদ্যোক্তারা আরও কিছুদিন পাবেন। এ ছাড়া বিশেষ সুবিধা পাওয়া ছোট ঋণে দেড় শতাংশ অতিরিক্ত নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ব্যাংকার্স সভায় মূল আলোচ্যসূচি ছিল প্রণোদনার আওতায় সিএমএসএমই খাতের ২০ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণের অগ্রগতি পর্যালোচনা, ঋণের সদ্ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং গত বছর শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা বেশ কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে প্রশংসাপত্র প্রদান। তবে এর বাইরে ঋণ পরিশোধের সুবিধা নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ঋণ পরিশোধের সুবিধা ঢালাওভাবে আর বাড়ানো হবে না। তবে সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তারা ১৫ শতাংশ পরিশোধ করলেও খেলাপি করা যাবে না। বিশেষ সুবিধা পাওয়া ঋণে সাধারণ প্রভিশনের অতিরিক্ত ২ শতাংশ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে সিএমএসএমই খাতের বিশেষ সুবিধা পাওয়া ঋণের ক্ষেত্রে এই প্রভিশনের হার হবে দেড় শতাংশ।
সম্প্রতি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএ–সহ কয়েকটি সংগঠন ঋণ পরিশোধ না করেও খেলাপিমুক্ত থাকার সুবিধা চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেয়।