ব্যাংকের কিছু শাখা খুলেছে, দেওয়া হচ্ছে সীমিত পরিসরে সেবা

কারফিউ শিথিল করার পর বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কিছু শাখা আজ বুধবার খুলেছে। এসব শাখায় বেলা ১১টা থেকে লেনদেন শুরু হয়, যা বেলা ৩টা পর্যন্ত চলবে। ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার সীমিত পর্যায়ে কিছু ব্যাংকিং সেবা মিলবে।

সাধারণ ছুটি ঘোষণার কারণে টানা তিন দিন দেশের ব্যাংকগুলো বন্ধ ছিল। লেনদেনসহ সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণে আর্থিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়ে। কারফিউ জারির পাশাপাশি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে ব্যাহত হয় ডিজিটাল ও মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবা কার্যক্রমও। পরে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) কাছে পাঠানো নির্দেশনায় সীমিত পর্যায়ে ব্যাংকিং চালুর বার্তা দেয়।

এমডিদের বলা হয়েছে, বুধবার ব্যাংকের ৫০ শতাংশ শাখা ও বৃহস্পতিবার ৭৫ শতাংশ শাখা খোলা রাখতে হবে। নির্দেশনায় আরও বলা হয়, কারফিউ শিথিল থাকার সময়ে বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নির্ধারিত শাখায় সীমিত আকারে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করতে হবে। ব্যাংকগুলো তাদের সুবিধামতো শাখা খোলা রাখার উদ্যোগ নেবে।

সাধারণ সময়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন করা যায়, আর ব্যাংকগুলোর দাপ্তরিক কার্যক্রম চলে ১০টা থেকে ৬টা পর্যন্ত।

তিন দিন পর সীমিত পর্যায়ে ব্যাংকিং শুরু হলেও সব ব্যাংক শাখায় গ্রাহকের ভিড় দেখা যায়নি। ঢাকার বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলের কিছু ব্যাংকের শাখায় অবশ্য গ্রাহক সমাগম বেশি দেখা গেছে। ব্যাংকাররা বলছেন, সময় গড়ালে গ্রাহকের ভিড় আরও বাড়তে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সীমিত ব্যাংকিং–সুবিধা বলতে মৌলিক ব্যাংকিং, অর্থাৎ টাকা জমা ও উত্তোলনের সুবিধাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। ঋণপত্র, পে-অর্ডার, হিসাব খোলাসহ অন্যান্য সেবা এ সময়ে মিলবে না। ব্যাংকগুলোকে শুধু মৌলিক সেবা দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের অফিসে আনার উদ্যোগ নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গত সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবারে ব্যাংক খোলা থাকলেও ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেওয়ায় অনেক সেবা দিতে পারেনি ব্যাংকের শাখাগুলো। এরপর সাপ্তাহিক ছুটি ও সাধারণ ছুটির কারণে টানা পাঁচ দিন ধরে ব্যাংক বন্ধ ছিল। এই সময়ে বৈদেশিক লেনদেনও বন্ধ হয়ে গেছে।

একই সময়ে সব ধরনের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়ায় প্রবাসী আয়ও দেশে আসেনি। ব্যাংকিং–সুবিধা না থাকা ও শুল্কায়ন না করতে পারায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়। টাকার সংকটে অনেক এটিএম বুথ অকার্যকর হয়ে যায় বলে জানা গেছে।