চুক্তিভিত্তিক কর্মীর মাধ্যমে কৃষিঋণ দেওয়া যাবে
ব্যাংকগুলো তাদের শাখা ও উপশাখার মাধ্যমে কৃষকদের ৮ শতাংশ সুদে ঋণ দেয়। অন্যদিকে বেসরকারি ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলো নিজস্ব শাখা ও উপশাখার পরিবর্তে বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করে। এতে কৃষকের সুদের হার অনেক বেড়ে যায়। সে জন্য ব্যাংকগুলোকে কৃষিঋণ বিতরণের জন্য চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব কর্মীর পদের নাম হবে ‘অ্যাগ্রি ক্রেডিট সুপারভাইজার’। তবে এসব কর্মীকে দিয়ে ব্যাংকগুলো কৃষিঋণ ছাড়া অন্য কোনো সেবা দিতে পারবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করে ব্যাংকগুলোকে এই নির্দেশনা দিয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ঋণ প্রদান করলে কৃষকেরা অপেক্ষাকৃত কম সুদে ঋণ গ্রহণ করতে পারেন এবং তদারকির মাধ্যমে ঋণের গুণগত মান বজায় রাখা সহজ হয়। এই বিবেচনায় কৃষিঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ঋণদাতা সংস্থার (এমএফআই) ওপর নির্ভরশীলতা ক্রমে কমিয়ে নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ঋণ বিতরণে সচেষ্ট হওয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
যেসব প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হবে, তাঁদের এনজিওবিষয়ক ব্যুরো অথব মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) তালিকাভুক্ত বা অনুমোদনপ্রাপ্ত এনজিও কিংবা এমএফআইয়ে ন্যূনতম তিন বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। প্রার্থীর বয়স হবে ২৫ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত। প্রার্থীর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হবে স্নাতক। তবে নিয়োগদাতা ব্যাংককে নিশ্চিত হতে হবে যে প্রার্থী কোনো এনজিও বা এমএফআই থেকে বরখাস্ত হননি। প্রার্থীর পারিশ্রমিক ও অন্যান্য সুবিধা–সংশ্লিষ্ট ব্যাংক নির্ধারণ করবে এবং তা ব্যাংক ও প্রার্থীর মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে উল্লেখ থাকতে হবে। এই পদে নিয়োগের মেয়াদ, পুনর্নিয়োগ অথবা চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি–সংক্রান্ত বিষয়গুলো ব্যাংকের নিজস্ব নীতিমালার আলোকে পরিচালিত হবে।
দেশে আগে কৃষিঋণের সুদহার ছিল ৮ শতাংশ। নতুন নিয়মে তা হবে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকে বিভিন্ন পুনঃ অর্থায়ন তহবিল থেকেও অর্ধেক সুদে ঋণ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।