অতীতে কী ঘটেছে সেটি তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে

মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’

মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) নগদ লিমিটেডের ডিজিটাল আর্থিক জালিয়াতি নিয়ে প্রথম আলোয় গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটি গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা নগদকে আগামী বাংলাদেশের উপযোগী করে গড়ে তুলতে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিযুক্ত প্রশাসক ও তাঁর দল। বর্তমানে নবগঠিত ব্যবস্থাপনা পর্ষদ এবং প্রশাসক দলের সরাসরি তত্ত্বাবধানে নগদ পরিচালিত হচ্ছে। ফলে নগদের বর্তমান লেনদেন সর্বোচ্চ নিরাপদ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট প্রতিটি নীতিমালা ও বিধিবিধান মেনেই নগদ পরিচালিত হচ্ছে। একই সঙ্গে নগদের আগের সব বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে, যা প্রতিষ্ঠানকে পরিশুদ্ধ করে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাড়ে নয় কোটি গ্রাহকের আস্থাকে পুঁজি করে নগদ বাংলাদেশের বিশালসংখ্যক গ্রাহকের পছন্দের আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে এবং দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। নগদের সেবাকে আরও উন্নত ও আন্তর্জাতিক মানের করতে চায় সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক। সে লক্ষ্যেই কাজ করছেন নগদের প্রশাসক ও তাঁর অন্য সহকর্মীরা।

প্রথম আলোর ‘নগদের ২৪ হাজার এজেন্ট বরখাস্ত’ শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ব্যাংক জমা টাকার অতিরিক্ত ৬৪৫ কোটি টাকার ই-মানি তৈরি করেছে নগদ। পাশাপাশি অনুমোদনবিহীন পরিবেশকের মাধ্যমে ১ হাজার ৭১১ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। এটাকে ডিজিটাল জালিয়াতি বলা হলেও এখনো কোনো মামলা দায়ের হয়নি। কারণ, মামলা কে করবে তা নিয়ে এক মাস ধরে ডাক অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে নগদ লিমিটেডের ৪১ পরিবেশক ও ২৪ হাজার ৯৭ এজেন্টকে বরখাস্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিযুক্ত প্রশাসক। পাশাপাশি ৬৪৩ জন বিক্রয় কর্মকর্তাকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া শীর্ষ পর্যায়ের ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ডাক অধিদপ্তরের কাছে সুপারিশ করেছেন নগদের প্রশাসক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অতীতে নগদের কিছু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে নগদ কর্তৃপক্ষ মনে করে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেনে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। আর সেটিই করে যাওয়ার চেষ্টা করছে বর্তমান প্রশাসক ও তাঁর দল। একই সঙ্গে তাঁরা গ্রাহকদের উদ্বিগ্ন না হয়ে নিশ্চিন্তে নগদে লেনদেন করার অনুরোধ জানান। অতীতে কী ঘটেছে সেটি যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে। তার ওপর ভিত্তি করেই পরিশুদ্ধ নগদ গড়ে উঠবে। নগদ এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের সরাসরি তদারকিতে আছে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগের একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে এখানে গ্রাহকের প্রতিটি টাকা নিরাপদ। ফলে নগদে লেনদেন করায় বা নগদের সঙ্গে থাকায় কোনো সংকোচের কিছু নেই। আগে যা–ই হয়ে থাকুক, নগদ এখন আরও উন্নত সেবা এবং অধিকতর নিশ্চয়তা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত কয়েক মাসে প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক গ্রাহক নগদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। নগদের দৈনিক লেনদেন এখন আগের যেকোনো সময়কে ছাড়িয়ে গেছে। ফলে নগদ এখন গ্রাহকের আরও পছন্দের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।