ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরপরও ব্যাংকের মাধ্যমে আশানুরূপ হারে তা আসছে না। জানুয়ারিতে প্রবাসী আয়ে কিছুটা গতি এলেও, ফেব্রুয়ারিতে আবার প্রবাসী আয় প্রত্যাবাসনের ধারা কমে গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, সদ্যবিদায়ী ফেব্রুয়ারি মাসে ১৫৬ কোটি ১২ লাখ মার্কিন ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। এই আয় জানুয়ারির তুলনায় ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার বা প্রায় ২০ শতাংশ কম। জানুয়ারিতে প্রবাসী আয় এসেছিল প্রায় ১৯৬ কোটি ডলার। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির চেয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৬ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এসেছিল ১৪৯ কোটি ৪৪ লাখ ডলারের প্রবাসী আয়।
প্রবাসী আয় কম এলেও দেশে ডলারের সংকট এখন খুব তীব্র নয় উল্লেখ করে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ঋণপত্র (এলসি) নিষ্পত্তির জন্য ডলারের প্রয়োজন কিছুটা কমেছে। তাতে ব্যাংকে এখন ডলারের চাহিদা আগের থেকে কম। তবে প্রবাসী আয় ব্যাংকে কম আসার পেছনে কারণ একটাই, বাইরে ডলারের দাম কিছুটা বেশি। নীতিনির্ধারকদের বিষয়টি নিয়ে আরও ভাবতে হবে। সচেতনতা বাড়াতে হবে।
প্রবাসী আয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে নিয়ে আসার জন্য সরকার প্রণোদনার হার দুই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে এখন আড়াই শতাংশ দিচ্ছে। এরপরও দেশে ডলার-সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে প্রবাসী আয়ে গতি কম। সামনে অবশ্য বৈশাখ ও দুই ঈদের মতো উৎসব আছে। উৎসবে প্রবাসী আয় বেশি আসে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ফেব্রুয়ারি মাসে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৭ কোটি ৫৭ লাখ ডলার। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, আর বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১২৪ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বরাবরের মতো খুব সামান্যই এসেছে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্টে প্রবাসীরা ২০০ কোটি ডলারের বেশি প্রবাসী আয় পাঠান। এরপর এখন পর্যন্ত প্রবাসী আয় আর ২০০ কোটি ডলার অতিক্রম করেনি।