ডাকঘরের সঙ্গে এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করেছি

শাফিউজ্জামান

দেশে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালুর পথিকৃৎ ব্যাংক এশিয়া। ব্যাংকিং সেবা-বহির্ভূত জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে গতিশীল করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম মেনে ব্যাংক এশিয়া ২০১৪ সালে বিশেষায়িত এ সেবা চালু করে।

বর্তমানে দেশে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার গ্রাহক ২ কোটির বেশি। এর মধ্যে ব্যাংক এশিয়ার গ্রাহকই প্রায় ৬৪ লাখ। আমাদের এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহকের ৯২ শতাংশই গ্রামীণ জনগোষ্ঠী এবং ৬৩ শতাংশ নারী। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দেশজুড়ে ৩২ লাখ সামাজিক সুরক্ষাভোগীর কাছে আমরা সরকারি ভাতা পৌঁছে দিচ্ছি।

আরও পড়ুন

বর্তমানে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতাধীন গ্রাহকদের আমানতের পরিমাণ প্রায় ৪ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এক দশক ধরে আমরা সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে অবদান রেখে চলেছি। গ্রাহক তার দোরগোড়ায় অতি সহজে ও দ্রুততার সঙ্গে সেবা পাওয়ায় গত এক দশকে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। তাতে আমাদের গ্রাহকের পাশাপাশি আমানত ও ঋণগ্রহীতার সংখ্যা বাড়ছে।

প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে আমরা ডিজিটাল পোস্ট অফিস এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করেছি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডাকঘর রয়েছে। তারা নিজস্ব সেবার পাশাপাশি স্বল্প পরিসরে আর্থিক সেবা প্রদান করে আসছে। এরই মধ্যে ১ হাজার ডিজিটাল ডাকঘরের মাধ্যমে ৩ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সম্ভব হয়েছে। ঋণ প্রদান করা হয়েছে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি গ্রাহককে।

গত বছর ছিল নির্বাচনের বছর। ফলে এ সময়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ প্রদানে কিছুটা ধীর গতি অবলম্বন করে। তারপরও ঋণের গতি বাড়াতে আমরা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দেশের ছয়টি অঞ্চলে সিআরএম হাব তৈরি করেছি। তারা যাচাই-বাছাই করে ঋণ অনুমোদন করছে। এজেন্ট ব্যাংকিং প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করেই যাত্রা শুরু করেছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে এজেন্ট ব্যাংকিংও প্রযুক্তির সমন্বয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আমি মনে করি নতুন ও আধুনিক প্রযুক্তি এজেন্ট ব্যাংকিং সেবাকে আরও যুগোপযোগী করবে।ৎ

  • শাফিউজ্জামান, প্রেসিডেন্ট ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব), ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড