ইসলামী ব্যাংক: এবার এক ডিএমডি পদত্যাগ করেছেন

ইসলামী ব্যাংক
ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের একজন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) পদত্যাগ করেছেন। সিদ্দিকুর রহমান ব্যাংকটির প্রধান ঝুঁকি কর্মকর্তা (সিআরও) ছিলেন।

ব্যাংকটির বিভিন্ন সূত্রে তাঁর পদত্যাগের ব্যাপারটি নিশ্চিত করা হয়েছে। জানা গেছে, ব্যাংকটির মালিকপক্ষের মৌখিক নির্দেশে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ তাঁকে পদত্যাগ করতে বললে তিনি পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন। এরপর গত সোমবার থেকে সিদ্দিকুর রহমান আর অফিসে যাচ্ছেন না।

আরও পড়ুন

এর আগে গত সপ্তাহে ইসলামী ব্যাংক থেকে পদত্যাগ করেন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) ওমর ফারুক খান। তিনি ছিলেন ব্যাংকটির আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং বিভাগের দায়িত্বে। আমদানি, রপ্তানি ও প্রবাসী আয় সংগ্রহের বিষয়টি দেখভাল করতেন তিনি। একই সময়ে ব্যাংকটিতে নতুন ডিএমডি হয়েছেন আকিজ উদ্দিন, যিনি এর আগে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন।

সিদ্দিকুর রহমানের পদত্যাগ করার বিষয়ে কথা বলার জন্য ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে গেলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মুনিরুল মাওলাকে পাওয়া যায়নি। পরে তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে অপরপ্রান্ত থেকে বলা হয়, অসুস্থতার কারণে তিনি বিশ্রামে আছেন।

সিদ্দিকুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষে ১৯৯২ সালে ইসলামী ব্যাংকে শিক্ষানবিশ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। সিআরও পদের আগে তিনি রিটেইল বিনিয়োগ, অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিভাগ, বিনিয়োগ প্রধানসহ বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।

ঋণ অনিয়মের কারণে কয়েক মাস ধরে আলোচনায় আছে ইসলামী ব্যাংক। এ কারণে ব্যাংকটি তারল্যসংকটেও পড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চাহিদামতো টাকা রাখতে না পারায় বড় অঙ্কের জরিমানারও মুখোমুখি হতে হয়েছে ইসলামী ব্যাংককে। ব্যাংকটিতে নতুন করে পর্যবেক্ষক বসিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এরপরও পরিস্থিতির খুব বেশি উন্নতি হয়নি বলে কর্মকর্তারা বলছেন।

আরও পড়ুন

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাংকটির একাধিক কর্মকর্তা ও পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনিয়মের বিষয়গুলো আলোচনায় আসায় বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ জন্য কাউকে সন্দেহ হলেই তাঁকে ব্যাংক থেকে সরে যেতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে আগামী সময়ে আরও অনেকেই ব্যাংকটি ছাড়তে পারেন বলে কর্মকর্তারা মনে করছেন।

এসব নিয়ে জানতে ব্যাংকটির জনসংযোগ বিভাগে যোগাযোগ করা হলেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।