চলতি মাসের প্রথম ১৪ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১১৬ কোটি ডলার
চলতি মাসের প্রথম ১৪ দিনে দেশে ১১৬ কোটি ৭২ লাখ মার্কিন ডলারের প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে। বিদায়ী আগস্ট মাসে সব মিলিয়ে এসেছিল ২২২ কোটি ডলার। ফলে চলতি মাসে প্রবাসী আয় বৃদ্ধির আশা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
প্রবাসী আয়সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১৪ দিনে (গতকাল শনিবার পর্যন্ত) বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ৮১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলো এনেছে ২৯ কোটি ৭২ লাখ ডলার। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪ কোটি ৯৯ লাখ ডলার। এ ছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৩০ লাখ ডলার এসেছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রবাসী আয়ে ইতিবাচক ধারা ফিরতে শুরু করে। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ইন্টারনেট ও ব্যাংকিং সেবা বন্ধ থাকার পরও আয় বেশি আসে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের এক পর্যায়ে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে আয় তথা রেমিট্যান্স না পাঠানোর ঘোষণা দেন। তবে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে তাঁরা আগের চেয়ে বেশি আয় পাঠানোর জন্য প্রচার শুরু করেন। এর ফলে প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পায়। সেই ধারা এখনো অব্যাহত আছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯১ কোটি ডলার। আর গত বছরের আগস্ট মাসে এসেছিল ১৬০ কোটি ডলার। অর্থাৎ সদ্য সমাপ্ত আগস্টে এর আগের মাস জুলাইয়ের তুলনায় প্রবাসী আয় ৩১ কোটি এবং গত বছরের একই মাসের চেয়ে ৬২ কোটি ডলার বেশি এসেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে জুনে, যা পরিমাণে ২৫৪ কোটি ডলার। এটি একক মাস হিসেবে গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়ের রেকর্ড। এর আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে এসেছিল ২৫৯ কোটি ডলার। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২৫ কোটি ডলার এসেছে মে মাসে।
বিভিন্ন ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, দাম বাড়িয়ে প্রবাসী আয় কেনার যে প্রতিযোগিতা ছিল, তা কমে এসেছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কড়াকড়ি কমায় ব্যাংকগুলোর সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি হয়েছে। এতে প্রবাসী আয় বাড়তে শুরু করেছে।