অর্থ পাচার প্রতিরোধ সূচকে বাংলাদেশের পাঁচ ধাপ উন্নতি
অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সূচকে বাংলাদেশের পাঁচ ধাপ উন্নতি হয়েছে। বাসেল অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) সূচক-২০২৩ এ বাংলাদেশ পাঁচটি দেশকে পেছনে ফেলে র্যাঙ্কিংয়ে ৪১ থেকে ৪৬ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে। এই সূচকে ২০২২ সালেও আট ধাপ উন্নতি হয়েছিল বাংলাদেশের।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক দ্য বাসেল ইনস্টিটিউট অন গভর্ন্যান্স ১৫২ দেশের অর্থ পাচার (মানি লন্ডারিং) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন ঝুঁকি নিরূপণ করে ২০২২ সালের এএমএল সূচক তৈরি করেছে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাসেল এএমএল সূচক অনুযায়ী, অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের ক্ষেত্রে বিশ্বে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে রয়েছে হাইতি (১), চাদ (২), মিয়ানমার (৩) ও কঙ্গো (৪)। আর সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে রয়েছে আইসল্যান্ড (১৫২), চীন (২৭), যুক্তরাষ্ট্র (১১৯) ও যুক্তরাজ্য (১৪০)। এ সূচকে যে দেশের যত বেশি নম্বরে অবস্থান, সে দেশ তত বেশি কম ঝুঁকিপূর্ণ।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সূচকে উন্নয়নের কারণ হিসেবে আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ কাঠামোর মানোন্নয়নের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক অঙ্গীকার, আন্তসংস্থার কাজের সমন্বয়, আর্থিক খাতে অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে সরকারের পর্যাপ্ত লোকবল ও অর্থের সংস্থান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
উল্লেখ্য, দ্য বাসেল ইনস্টিটিউট অন গভর্ন্যান্স গত ১২ বছর ধরে পাঁচটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে বাসেল এএমএল সূচক প্রকাশ করছে। সেগুলো হচ্ছে অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার পরিপালন, ঘুষ ও দুর্নীতি, আর্থিক স্বচ্ছতা ও মানদণ্ড, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি এবং আইনগত ও রাজনৈতিক ঝুঁকি।