দেশের ভেতরে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কমেছে
দেশের ভেতরে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কমেছে। তার বিপরীতে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে। এ দেশের ক্রেডিট কার্ডধারী ব্যক্তিরা গত এপ্রিল মাসে দেশের ভেতরে ক্রেডিট কার্ডে খরচ করেছেন ২ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা, মার্চে যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকা।
অর্থাৎ দেশের ভেতরে ক্রেডিট কার্ডধারী ব্যক্তিদের কার্ডের ব্যবহার করে ব্যয় এক মাসের ব্যবধানে ২০৪ কোটি টাকা বা প্রায় ৭ শতাংশ কমে গেছে।
ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ক্রেডিট কার্ডধারী ব্যক্তিদের পাশাপাশি এ দেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহারও এপ্রিলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে। এপ্রিলে এ দেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকেরা ক্রেডিট কার্ডে খরচ করেছেন ১৯৯ কোটি টাকা, মার্চে যার পরিমাণ ছিল ২২৭ কোটি টাকা। সেই হিসাবে ১ মাসের ব্যবধানে বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিকদের ক্রেডিট কার্ডে খরচ কমেছে ২৮ কোটি টাকা বা প্রায় সাড়ে ১২ শতাংশ।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এপ্রিলের প্রথমার্ধে ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হয়। ঈদুল ফিতরের আগে–পরে মিলিয়ে লম্বা ছুটি ছিল। লম্বা এই ছুটিতে অনেকে শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যান, আবার কেউ কেউ বিদেশে ভ্রমণে যান। ঈদের ছুটিতে বিপণিবিতান ও দোকানপাটও বন্ধ ছিল এক সপ্তাহের বেশি। সব মিলিয়ে তাই দেশে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার এপ্রিলে কম ছিল বলে মনে করছেন তাঁরা।
এপ্রিল মাসে ক্রেডিট কার্ডধারী এ দেশের নাগরিকেরা যত অর্থ খরচ করেছেন, তার প্রায় অর্ধেকই খরচ করেছেন বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে, যার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থ খরচ করেছেন বিভিন্ন রিটেইল শপে, যার পরিমাণ ৩৭০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিলে বাংলাদেশিরা বিদেশে গিয়ে ক্রেডিট কার্ডে খরচ করেছেন ৫০৭ কোটি টাকা, মার্চে যার পরিমাণ ছিল ৫০৩ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে বিদেশি বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে চার কোটি টাকার। দেশের মতো বিদেশেও বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ড বেশি ব্যবহার করেছেন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে। এপ্রিলে মোট ৫০৭ কোটি টাকা খরচের মধ্যে ১৪৯ কোটি টাকা খরচ করা হয় বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে।
বিদেশে গিয়ে গত এপ্রিলে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেছেন ভারতে, যার পরিমাণ ৯৮ কোটি টাকা।