করোনার মধ্যে প্রবাসী আয় অনেকটা বেড়েছে। আবার ব্যাংকগুলোতে আমানত বেড়েছে। এতে ব্যাংকগুলোতে প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা জমা আছে। এই অতিরিক্ত তারল্য আর্থিক খাতে বুদ্বুদ তৈরি করলে তা তুলে নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, অতিরিক্ত তারল্যের কারণে মূল্যবৃদ্ধি বা সম্পদের দাম বেড়ে গেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন নীতি গ্রহণে দ্বিধা করবে না।
এমন ঘোষণা দিয়ে আগের অর্থবছরের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলতি অর্থবছরের নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে পুরো অর্থবছরে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণ করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ—ডিসেম্বর পর্যন্ত ১১ শতাংশ। যদিও গত জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ৮ দশমিক ৪ শতাংশ।
আজ বৃহস্পতিবার ঘোষিত নতুন মুদ্রানীতিতে সরকারের লক্ষ্যমাত্রার আলোকে ঋণ গ্রহণের প্রবৃদ্ধি ৩২ দশমিক ৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। আর মোট অভ্যন্তরীণ ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১৭ দশমিক ৮০ শতাংশ।
নতুন মুদ্রানীতিতে উৎপাদনশীল খাতে ঋণের জোগান বাড়ানোয় জোর দেওয়া হয়েছে।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক লিখিত বক্তব্যে গভর্নর ফজলে কবির বলেন, ‘চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে সরজমিনে নিরীক্ষা কার্যক্রম অনেকটা শিথিল থাকায় প্রণোদনা প্যাকেজের অপব্যবহার নিয়ে ইতিমধ্যে দেশের গণমাধ্যম ও বিভিন্ন মহল থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। তবে প্রযুক্তিনির্ভর অফ-সাইট নিরীক্ষা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। সরেজমিনে নিরীক্ষা কার্যক্রম জোরদার করার পাশাপাশি প্রণোদনার প্রভাব নিয়ে বিশেষ সমীক্ষা পরিচালনার বিষয়টিও বাংলাদেশ ব্যাংকের সক্রিয় বিবেচনায় আছে। এ ছাড়া আর্থিক খাতে দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং বিদেশে অর্থ পাচার রোধকল্পে বিএফআইইউয়ের মাধ্যমে আর্থিক গোয়েন্দা কার্যক্রম বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’