‘সুইস ব্যাংক এখন আর ট্যাক্স হ্যাভেন নেই’
সুইস ব্যাংক এখন আর ট্যাক্স হ্যাভেন নেই। এখানে টাকা রেখে এখন আর খুব বেশি মুনাফা পাওয়া যায় না। এ কারণে সুইস ব্যাংক থেকে অনেকেই অর্থ অন্যত্র সরিয়ে নেন বলে মনে করেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর।
গতকাল বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) ‘ব্যাংকস ইন সুইজারল্যান্ড-২০২০’ বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত এক বছরে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা অর্থের পরিমাণ ৬ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। ২০২০ সাল শেষে দেশটির ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের জমা অর্থের পরিমাণ আগের বছরের ৬০ কোটি ৩০ লাখ সুইস ফ্রাঁ থেকে কমে ৫৬ কোটি ৩০ লাখ সুইস ফ্রাঁ হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ২০৩ কোটি টাকা (১ সুইস ফ্রাঁ =৯২.২৮ টাকা)।
সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা অর্থের পরিমাণ কমার বিষয়টি একেবারেই স্বাভাবিক বলে মনে করেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর।
আজ শুক্রবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নানা কারণে এটি কমতে পারে, বাড়তে পারে। এখানে তো বাংলাদেশের অনেক ব্যাংকের টাকা থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের থাকে, অন্য ব্যাংকের থাকে। তেমনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশের নাগরিকেরাও দেশটিতে অর্থ জমা রাখেন। হতে পারে জামানাত বিভিন্ন জায়গায় স্থানান্তরিত হয়েছে। যে সময় পর্যন্ত হিসাব দেওয়া হয়েছে, সে সময়ে হয়তো কিছু উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। আবার জমা হতে পারে।
আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, সুইস ব্যাংকে অর্থ রাখলে এখন খুব বেশি মুনাফা পাওয়া যায় না। সে কারণে হয়তো অনেকে সেখান থেকে অর্থ অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। বেশি মুনাফার আশায় কেউ কেউ সেই টাকা বাংলাদেশেও ফিরিয়ে আনতে পারেন। আসলে সুইস ব্যাংককে যে ট্যাক্স হ্যাভেন বলা হতো, সেটা এখন আর নেই।
গতকালের ‘ব্যাংকস ইন সুইজারল্যান্ড-২০২০’ বার্ষিক প্রতিবেদনে পাচার সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। এমনকি আমানত হিসাবে কার কত অর্থ আছে, তা-ও জানা যায়নি।