প্রবাসী আয়ে বিশ্বে নবম বাংলাদেশ
অর্থনীতির একটি সূচকই এখন ভালো। আর তা হচ্ছে প্রবাসী আয়। বেশির ভাগ প্রবাসীদের বিদেশজীবন মোটেই সুখকর নয়, বিদেশ যাওয়ার ব্যয় অনেক বেশি, আছে দালালের দৌরাত্ম্য। নতুন অনুষঙ্গ হচ্ছে সৌদি আরব থেকে চরম নির্যাতিত হয়ে নারী কর্মীদের দেশে ফিরে আসা। অথচ অর্থনীতির বড় স্বস্তির জায়গা হচ্ছে এই প্রবাসী আয়, যার ওপর ভিত্তি করে টিকে আছে অর্থনীতি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানোর বড় কৃতিত্ব প্রবাসী আয়ের।
রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের দিক থেকে বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থানও বহু বছর ধরে যথেষ্ট শক্তিশালী। ২০১৮ সালের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী বেশি রেমিট্যান্স আসা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান নবম। আর বরাবরের মতো প্রবাসী আয়ের বৈশ্বিক তালিকায় প্রথম স্থানে ভারত। বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতি এখন চীনের। অনেক কিছুতেই তারা বিশ্বের প্রথম তিন দেশের একটি। এমনকি পিছিয়ে নেই প্রবাসী আয়ের দিক থেকেও। তাদের অবস্থান দ্বিতীয়।
শীর্ষ দশের অন্য দেশগুলো হচ্ছে তৃতীয় মেক্সিকো, ফিলিপাইন চতুর্থ, মিসর পঞ্চম, নাইজেরিয়া ষষ্ঠ, পাকিস্তান সপ্তম, ভিয়েতনাম অষ্টম, বাংলাদেশ নবম এবং ইউক্রেন দশম। এসব তথ্য বিশ্বব্যাংকের। তাদের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী প্রবাসী আয় প্রবাহের মোট পরিমাণ ছিল ৬৮৯ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরে ছিল ৬৩৩ বিলিয়ন ডলার। মোট রেমিট্যান্স প্রবাহের ৫২৯ বিলিয়ন ডলারই গেছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। আর এসব দেশে বিদেশি মুদ্রায় বিপুল পরিমাণ প্রবাসী আয় আসায় তাদের জন্য বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য টেকসই অবস্থায় রাখতে সহায়ক হয়েছে বলেও মনে করে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০১৮ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ শতাংশ, যা ২০১৭ সালে ছিল ৬ শতাংশ। এ সময় ভারতে প্রবাসী আয় বেড়েছে ১৪ শতাংশেরও বেশি। তবে চলতি ২০১৯ সময়ে বাংলাদেশে প্রবাসী আয়ের যে প্রবৃদ্ধি, তা ধরে রাখা গেলে বাংলাদেশ হয়তো এক ধাপ এগিয়ে যাতে পারে।
প্রবাসী আয়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০ দেশ
ভারত ৭৮.৬
চীন ৬৭.৪
মেক্সিকো ৩৫.৭
ফিলিপাইন ৩৩.৮
মিসর ২৮.৯
নাইজেরিয়া ২৪.৩
পাকিস্তান ২১.০
ভিয়েতনাম ১৫.৯
বাংলাদেশ ১৫.৫
ইউক্রেন ১৪.৪
বিলিয়ন ডলারে