সবার ভেতর আস্থার পরিবেশ ফিরে আসুক 

নতুন আরেকটি বছর শুরু হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের আশা, নতুন বছরে ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নতি হবে। সুদের হারের লাগাম টানার ব্যবস্থা হবে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ চান দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে। বিভিন্ন খাতের উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, ব্যাংকার, গৃহিণীসহ ছয়জন তাঁদের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেছেন। 

তপন চৌধুরী

২০২৪ সাল ছিল নানা ঘটনার বছর। উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তাময় ছিল বছরটি। ঘটনাবহুল এমন এক বছর শেষে নতুন বছরে অন্যতম প্রত্যাশা—দেশে সুস্থ, স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসুক। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হোক। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, শিল্পোদ্যোক্তা সবার ভেতর একটা আস্থার পরিবেশ ফিরে আসুক। মানুষের প্রতি মানুষের পারস্পরিক সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধটা যেন দৃঢ় হয় নতুন বছরে।

আমরা দেখছি, বর্তমানে মানুষে–মানুষে অবিশ্বাস ও আস্থাহীনতার সম্পর্ক প্রবল। নতুন বছরে এসবের পরিসমাপ্তি দেখতে চাই। সবকিছুর ঊর্ধ্বে দেশ ও দেশের মানুষকে এগিয়ে নেওয়ার চিন্তা করতে হবে সবাইকে। অতীতে আমরা দেখেছি একটি শ্রেণি বেসরকারি খাতের ওপর নানাভাবে চাপ তৈরি করত। ক্ষমতাশীল ব্যক্তিরা অন্যদের সম্মানের চোখে দেখতেন না। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এসবের অবসান ঘটুক নতুন বছরে।

তরুণ প্রজন্মকে একটি ভালো ভবিষ্যৎ উপহার দিতে নতুন বছরে সবাই একসঙ্গে কাজ করবে, এটাই চাওয়া। ব্যবসা–বাণিজ্য থেকে শুরু করে সমাজের সব ক্ষেত্রে একটি লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা জরুরি। তাতে এ দেশে কেউ নিজেকে অসম্মানিত ও অনিরাপদ ভাববে না। কিছু মানুষের খারাপ উদাহরণের কারণে আমরা যেন সবাইকে একই কাতারে টেনে না আনি, সেদিকে নজর দিতে হবে।

ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তা হিসেবে আমার প্রত্যাশা, ব্যবসা–বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ। ব্যবসা–বাণিজ্যের পরিবেশ উন্নত হলে তাতে বিনিয়োগ বাড়বে। নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। নতুন বছরে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাই এগিয়ে আসবে যার যার অবস্থান থেকে, এটাই প্রত্যাশা।