জিনিসপত্রের দাম যেন কমে 

নতুন আরেকটি বছর শুরু হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের আশা, নতুন বছরে ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নতি হবে। সুদের হারের লাগাম টানার ব্যবস্থা হবে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ চান দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে। বিভিন্ন খাতের উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, ব্যাংকার, গৃহিণীসহ ছয়জন তাঁদের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেছেন।

জাকিয়া আক্তার

জিনিসপত্রের বাড়তি দাম ও নানা সহিংসতায় ২০২৪ সালে অনেক অস্থিরতা ছিল। বিশেষ করে জিনিসপত্রের দাম সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে সাধারণ মানুষকে। পেঁয়াজ, আলু, ডিম, তেলসহ ঘরের অতি প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেই হিমশিম খেতে হয়েছে বছরজুড়ে। বেড়েছে অন্যান্য খরচও। সব মিলিয়ে বিদায়ী বছরটা আমাদের অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। ফলে নতুন বছরে আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি।

শীতের মৌসুমের কারণে বর্তমানে সবজির দাম কমলেও অন্যান্য পণ্যের দাম আগের মতোই রয়েছে। এ ছাড়া ছেলেমেয়ের পড়ালেখা, চিকিৎসা ব্যয়সহ জীবনধারণের অন্যান্য খরচও বেড়েছে। সে তুলনায় পরিবারের আয় বাড়েনি। মধ্যবিত্ত পরিবার হিসেবে এত বেশি খরচ বহন করা আমাদের জন্য অস্বাভাবিক ব্যাপার। গৃহিণী হিসেবে আমাকে এসব বিষয় প্রতিনিয়ত মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

বর্তমানে পরিবারে যে আয় রয়েছে, তা দিয়ে মাস চলা কঠিন। বাড়তি ব্যয় এখন পর্যন্ত কোনোভাবে সামলে নিয়ে চলছি। তবে একটু বাড়তি খরচ হলেই সঞ্চয় ভাঙতে হয়। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে ধারদেনার পর্যায়ে চলে যেতে হবে। তাই নতুন বছরে সরকার যেন জিনিসপত্রের দাম কমানোর দিকে বেশি মনোযোগ দেয়, সেই প্রত্যাশা থাকবে। এ ছাড়া বর্তমানে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিয়েও সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর রাস্তাঘাটে বের হওয়া নিরাপদ নয়; আতঙ্ক বোধ হয় সব সময়। ছিনতাইয়ের ভয় ছাড়া দুর্ঘটনার ভয়ও কাজ করে। বর্তমানে সড়ক দুর্ঘটনা অনেক বেড়েছে। এ বিষয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন। ভবিষ্যতে অন্তর্বর্তী সরকার বা নির্বাচিত সরকার যারাই দায়িত্বে থাকুক, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা যেন সহজ হয়, সেই চেষ্টা সরকার করবে, এটাই আমাদের অন্যতম প্রত্যাশা।