আন্তর্জাতিক বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। এর অভিঘাত পড়ছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। আবার চীনও ধীরে ধীরে সব খুলে দিচ্ছে। চীনের কারণে বাংলাদেশের লাভ-ক্ষতি দুটোই হতে পারে। একদিকে আমদানি-রপ্তানিসহ বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি হবে, অন্যদিকে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগপ্রবাহ কমে অন্য দেশে স্থানান্তর হওয়ার শঙ্কা আছে।
আশার কথা, আন্তর্জাতিক বাজারে জিনিসপত্রের দাম ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। তবে জ্বালানি তেলের দাম আবার কিছুটা বাড়তির দিকে।
চীনের দরজা খুলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করছে তারা। ফলে নিত্যপণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারে কিছুটা চাপ তৈরি হচ্ছে। এর অভিঘাত আমাদের ওপর পড়তে পারে। চাহিদা অনুযায়ী জিনিসপত্র না-ও মিলতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস হলো, চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে। বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এই হার ভালো।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এর ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে তৈরি পোশাকের কাঁচামাল আমদানির প্রাপ্যতাপত্রের চিত্র থেকে। তৈরি পোশাক রপ্তানিতে এখন প্রবৃদ্ধি ১৮ শতাংশ, এটি কমে যেতে পারে। পোশাক রপ্তানি কমলে বৈদেশিক মুদ্রার মজুতেও প্রভাব পড়বে।
বৈদেশিক মুদ্রার মজুত সুসংহত রাখতে প্রবাসী আয়ের দিকে বেশি মনোযোগী হতে হবে। প্রবাসী আয় বাড়লে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তি আসবে। এখন অনানুষ্ঠানিক খাতে বা হুন্ডিতে বেশি প্রবাসী আয় আসছে।
একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে, গত দুই বছরে ১৮ লাখ মানুষ বিদেশে গেছেন। তাঁদের ৭০ শতাংশই গেছেন সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে। কিন্তু ওই সব দেশ থেকে বৈধ উপায়ে প্রবাসী আয় আসা কমেছে। হুন্ডিতে প্রবাসী আয় আসা ঠেকাতে হবে।
মোস্তাফিজুর রহমান, বিশেষ ফেলো, সিপিডি