প্রত্যাশা ২০২৫
প্রাণচাঞ্চল্য ফিরবে ব্যবসা-বাণিজ্যে
নতুন আরেকটি বছর শুরু হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের আশা, নতুন বছরে ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নতি হবে। সুদের হারের লাগাম টানার ব্যবস্থা হবে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ চান দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে। বিভিন্ন খাতের উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, ব্যাংকার, গৃহিণীসহ ছয়জন তাঁদের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ২০২৪ সাল একটি স্মরণীয় বছর হয়ে থাকবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে এ বছর শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। আর দমবন্ধ পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পেয়েছে প্রায় সবাই।
বর্তমানে দেশ পরিচালিত হচ্ছে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে। বিদায়ী সরকার ব্যবসা-বাণিজ্য পরিস্থিতি যতটা খারাপ করে গেছে, তা স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে আনতেই বর্তমান সরকারকে বেশি মনোযোগ দিতে হচ্ছে। আগের সরকারের সময় গুম, খুন তো ছিলই। পাশাপাশি ব্যাংক লুট, ডলার পাচার ইত্যাদির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি, অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর অর্থনীতিকে স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
নানা পদক্ষেপের ফলে সামষ্টিক অর্থনীতি এখন স্থিতিশীলতার পথে। এখন আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারছেন ব্যবসায়ীরা। আগে ডলার-সংকটের কারণে এলসি না খুলে ব্যাংকগুলো ব্যবসায়ীদের ফিরিয়ে দিত। তবে আমি এ–ও মনে করি, অর্থ উপদেষ্টা ও গভর্নরকে আরও শক্ত হতে হবে। দুর্বল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা দিতে হবে। আমদানি বাধাগ্রস্ত হলে খাদ্যসংকট দেখা দেবে। পাশাপাশি আমি মনে করি, অর্থনীতি ঠিক রাখার অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখা। এখনো এ জায়গায় ঘাটতি রয়ে গেছে। আসলে নিরাপত্তার ঘাটতি থাকলে সবকিছুই বৃথা। আশা করছি ২০২৫ সালে এ ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে। আশা করি নতুন বছরে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পাবে ব্যবসা-বাণিজ্য। ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি থাকলে কোনো অপশক্তিই বাংলাদেশকে পিছিয়ে রাখতে পারবে না। আমরা একটা সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। ২০২৫ সালই হোক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার ভিত্তি বছর।