দেশের দারিদ্র্য বিমোচনে এনজিওর অবদানকে কীভাবে দেখছেন?
তপন কুমার কর্মকার: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর আরডিআরএস বাংলাদেশসহ বেশ কিছু দেশি-বিদেশি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ শুরু করে। এনজিওগুলোর বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে
ক্ষুদ্রঋণ ছিল অন্যতম। এ কার্যক্রমের ফলে লাখ লাখ দরিদ্র মানুষ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে, যা দারিদ্র্যের হার কমাতে সহায়ক হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়নেও এই ঋণ কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ক্ষুদ্রঋণ একটি অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি করেছে।
দেশের দারিদ্র্য পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এমন বাস্তবতায় এনজিওগুলোর ভূমিকা কেমন হওয়া প্রয়োজন?
তপন কুমার কর্মকার: ২০২৬ সাল নাগাদ বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে বের হয়ে মধ্যম আয়ের দেশে যাওয়ার কথা। স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বেশ কিছু সুবিধা পেয়ে থাকে, যা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হলে কমে যাবে। অন্যদিকে দেশের এনজিও খাতে বৈদেশিক অর্থ সহায়তার পরিমাণও কমেছে। এমন অবস্থায় এনজিওগুলো পুরোপুরিভাবে বৈদেশিক সহায়তানির্ভর না হয়ে নিজস্ব আয়ের উৎস তৈরি করতে পারে। এ ছাড়া কর্মসূচি নির্বাচনে সতর্ক হওয়া এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে।
আপনাদের প্রতিষ্ঠান এ পর্যন্ত কী পরিমাণ ক্ষুদ্রঋণ দিয়েছে?
তপন কুমার কর্মকার: ১৯৯১ সাল থেকে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম শুরু করে আরডিআরএস। বর্তমানে এ কার্যক্রমে প্রায় ৪ লাখ ৭০ হাজার সদস্য আছেন। আমাদের ঋণগ্রহীতার সংখ্যা ৩ লাখ ৭০ হাজার; যার মধ্যে ৯২ শতাংশই নারী। দেশের ২৯টি জেলায় ২৮৪টি শাখায় প্রায় ৩ হাজার কর্মীর মাধ্যমে এ কার্যক্রম চলছে। প্রতিবছর আমরা প্রায় ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করি।