চাঁদাবাজি যেন না বাড়ে, সেটাই চাওয়া

নতুন আরেকটি বছর শুরু হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের আশা, নতুন বছরে ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নতি হবে। সুদের হারের লাগাম টানার ব্যবস্থা হবে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ চান দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে। বিভিন্ন খাতের উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, ব্যাংকার, গৃহিণীসহ ছয়জন তাঁদের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেছেন। 

মো. হেলাল মিয়া

মিরপুর-১০ এলাকায় ফুটপাতে ২০ বছর ধরে প্যান্ট-শার্ট বিক্রি করছি আমি। গত জুলাই-আগস্ট মাসে টানা কয়েক দিনের আন্দোলনের সময় আমাদের ব্যবসা বন্ধ ছিল। জিনিসপত্রের বেশি দামের কারণে সারা বছরই বেচাকেনার পরিমাণ আগের তুলনায় কম ছিল। সব মিলিয়ে ২০২৪ সালে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি আমরা। তবে নতুন বছরে আমরা শান্তিতে বসবাস করতে চাই।

বর্তমানে আমরা যে একদম খারাপ অবস্থায় আছি, এমন নয়। তবে কিছু ঝামেলা আছে। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও মাদক—এই তিন সমস্যা আমাদেরও ভোগায়। সরকারের এসব জায়গায় কাজ করা প্রয়োজন। আমাদের ব্যবসায় অনেক প্রভাব ফেলে এই চাঁদাবাজি। আশার কথা, চাঁদাবাজি আগের তুলনায় অনেক কমেছে। এটা যেন আর না বাড়ে।

খুচরা ব৵বসা করায় ব্যাংক থেকে ঋণ দেয় না। এ জন্য কিস্তি দিয়ে দিয়ে ব্যবসা চালাই। এখন আয় কমে যাওয়ায় কিস্তির টাকা পরিশোধ করা কঠিন হয়ে গেছে। একজনের আয় দিয়ে এখন সংসার চলে না। আমার দুই ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া করে; তাদের খরচ চালানো এখন খুব কষ্ট হয়ে যায়। সব মিলিয়ে হিমশিম অবস্থার মধ্য দিয়ে চলছি।

বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় মানুষ এখন কম কম কিনছেন। ফলে আমাদের ব্যবসাও কমেছে। বেচাকেনা করে আগে মাস শেষে দুই-চার হাজার টাকা জমাতে পারতাম। এখন কোনো টাকা জমানো যাচ্ছে না। যা আয় হয়, তা দিয়ে কোনোমতে দিন পার করছি; কখনো ধারদেনাও করতে হচ্ছে। তাই জিনিসপত্রের দাম কমানোর দিকে সরকারের নজর দেওয়া উচিত।