২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

সোনালী লাইফের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসসহ ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে আবার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। আগের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার শেষ দিন ছিল আজ মঙ্গলবার।

নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের স্ত্রী ফজলুতুন নেসা, মেয়ে ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া ও তাসনিয়া কামরুন আনিকা, ছেলে মোস্তফা কামরুস সোবহান, পুত্রবধূ শাফিয়া সোবহান চৌধুরী। দেশত্যাগে আরও যাঁদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মীর রাশেদ বিন আমান (যিনি ফৌজিয়া কামরুন তানিয়ার স্বামী ছিলেন) ও নূর-ই-হাফজা (তিনি সম্পর্কে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের মামি)। আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার ভারপ্রাপ্ত মহানগর দায়রা জজ ইব্রাহিম মিয়া আজ মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞার এ আদেশ দেন। আসামিরা পালিয়ে গেলে তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

ওই ব্যক্তিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মো. রাকিবুল হায়াত। দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদেশ দেন আদালত।

দুদকের আবেদনে একে অপরের সহায়তায় প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে জাল চুক্তিনামা তৈরি করে বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে সোনালী লাইফ থেকে প্রায় ১৮৮ কোটি টাকা উত্তোলন করেন। এ ঘটনায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ অনুযায়ী মামলা হয়, যা এখন তদন্তাধীন।

গত ২০ আগস্ট এসব ব্যক্তির বিদেশ গমনে ৬০ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, যা আজ শেষ হয়েছে। দুদক কর্মকর্তাদের দাবি, তদন্ত চলাকালে জানা গেছে যে মামলার আসামিরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।