চীনের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের ব্যবসায়ীরা ঢাকায়, আগ্রহী বিনিয়োগে
দেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সফররত চীনের একটি উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল। তবে এর আগে জ্বালানির চাহিদা, বিনিয়োগ নীতি ও সহযোগিতার অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে তাঁরা জানতে চেয়েছেন।
গতকাল রোববার বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেন চীনের ওই প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। বৈঠকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ নিয়ে এসব কথা জানান তাঁরা। বিডার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিডা জানিয়েছে, চীনের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের সুযোগ অনুসন্ধান করছে। এ লক্ষ্যে তাঁরা বিডা ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। চীনা প্রতিনিধিদলে দেশটির লংজি গ্রিন এনার্জি টেকনোলজি কোম্পানি, টংওয়েই কোম্পানি ও ইউনান শোর মতো শীর্ষস্থানীয় নবায়নযোগ্য জ্বালানি কোম্পানির কর্মকর্তারা রয়েছেন।
বৈঠকে চীনা কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তারা নিজেদের প্রতিষ্ঠানের উন্নত প্রযুক্তি ও সফল আন্তর্জাতিক প্রকল্পগুলো উপস্থাপন করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিশেষ করে সৌরশক্তি খাতে বিনিয়োগের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার একটি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ ক্ষেত্রে কর অবকাশ, শুল্কমুক্ত পণ্য আমদানি ও দক্ষ শ্রমশক্তি নিশ্চিত করার মতো বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
এ সময়ে বিডার ব্যবসা উন্নয়ন বিভাগের প্রধান নাহিয়ান রহমান নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে স্থানীয় বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা, উৎপাদনের সুবিধা ও বিনিয়োগের উচ্চ মুনাফার সুযোগের মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, দেশের শিল্প কারখানাগুলোতে সৌরশক্তির ব্যবহার বাড়ানোর জন্য সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে ছাদে সৌরশক্তি ব্যবস্থা স্থাপন অন্যতম।
বৈঠকে চীনা প্রতিনিধিদলের সদস্য ওয়াং ফেং বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের বাজার চাহিদা, বিনিয়োগ নীতি ও সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়ে গভীরভাবে জানতে আগ্রহী। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত রয়েছি।’
বৈঠক শেষে আয়োজিত নেটওয়ার্কিং সেশনে স্থানীয় সৌরশক্তি–সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক ব্যাংক, আইন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।