২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

মুনাফা কমেছে মায়ার্সকের, ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ জাহাজ কোম্পানি এ পি মোলার মায়ার্সক জাহাজ
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ জাহাজ কোম্পানি এ পি মোলার মায়ার্সক ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে বলে জানিয়েছে। কোম্পানিটি বলেছে, বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে তাদের বিপুল হারে মুনাফা কমেছে। সেই সঙ্গে কোম্পানির ব্যয় বাড়ছে এবং জনবলও আছে বাড়তি—এসব কারণে তারা এই ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিশ্বের পণ্য পরিবহনের ছয় ভাগের এক ভাগ হিস্যা মায়ার্সকের। ওয়ালমার্ট ও নাইকির মতো কোম্পানির পণ্য পরিবহন করে তারা। কিন্তু সম্প্রতি তারা বলেছে, বিশ্লেষক ও বিনিয়োগকারীরা আশাবাদী হলেও পণ্য পরিবহনের চাহিদা কমেছে।

মায়ার্সকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভিনসেন্ট ক্লার্ক বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে বলেছেন, নতুন বাস্তবতা হলো, সামষ্টিক অর্থনীতি নিয়ে চাঙা পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে না। আগামী কয়েক বছরে পণ্য পরিবহনের চাহিদা কমবে; জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিজনিত উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে ব্যয় এমনিতেই বাড়তি—এসব কারণে চাহিদায় টান পড়ছে। সেই সঙ্গে ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা তো আছেই।

মহামারির সময় পণ্য পরিবহন অর্থাৎ জাহাজের ভাড়া অনেকটা বেড়ে যায়। সে জন্য গত কয়েক বছরে নতুন কনটেইনার নির্মাণে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করা হয়। এই সময়ে বিপুল পরিমাণ জাহাজ বাজারে এলেও আগের জাহাজগুলো বসিয়ে রাখা হচ্ছে বা পুরোনো জাহাজ ভেঙে ফেলা হচ্ছে এমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না; বরং সব জাহাজই এখন কাজে আছে। সে কারণে জাহাজের ভাড়া কমে যাচ্ছে এবং মায়ার্সকের মতো বিশাল কোম্পানি ক্ষতির মুখে পড়েছে।

ভিনসেন্ট ক্লার্ক বলেন, এই বাস্তবতায় চতুর্থ প্রান্তিকে কোনো উন্নতি না হলে ২০২৪ সালে পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।

ক্লার্ক আরও বলেন, তৃতীয় প্রান্তিকে খুচরা ও লাইফস্টাইল পণ্যের পরিবহন কমেছে, বিশেষ করে উত্তর আমেরিকায়। সেই সঙ্গে গাড়ি ও প্রযুক্তি পণ্যের পরিবহনও কমেছে।

জানা গেছে, চলতি বছর মায়ার্সক ইতিমধ্যে এক দফায় কর্মী ছাঁটাই করেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তারা কর্মীসংখ্যা ১ লাখ ১০ হাজার থেকে কমিয়ে ১ লাখের নিচে নামিয়ে এনেছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদ অনুসারে, বিশ্বের জাহাজ পরিবহন খাতে কয়েক বছর ধরে কর্মীর আধিক্য আছে, কোভিড-১৯ এর পর সেই সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। ফলে জাহাজ খাত এখন একধরনের ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।  

এই সমস্যা শিগগিরই দূর হচ্ছে না। নিকট ভবিষ্যতেও বাজার চ্যালেঞ্জিং থাকবে। এই বাস্তবতায় মায়ার্সক নতুন প্রযুক্তি, যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অটোমেশনে বিনিয়োগ করে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছে।