রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাপানের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ

রোহিঙ্গা
ফাইল ছবি

মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে জাপানের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। আজ রোববার জাপানের সফররত প্রতিনিধিদল পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময় তিনি এ সহযোগিতা চান।

বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনামন্ত্রীর কার্যালয়ে এই সভা হয়। এতে জাপানের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সে দেশের সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য এবং জাপানের বিদেশি সহায়তা কমিটির (ওডিএ) প্রধান নাকানিশি ইয়োসুকে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘জাপান আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। আবার মিয়ানমারের সঙ্গে জাপানের খুব ভালো সম্পর্ক। ঢাকা ও নেপিডো উভয়ের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের কারণে আমরা অনুরোধ করেছি, কক্সবাজারে থাকা প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গার নিরাপদ প্রত্যাবাসনে জাপান যেন সহায়তা করে।’

এ বিষয়ে জাপানের প্রতিনিধিদলের নেতা নাকানিশি ইয়োসুকে সাংবাদিকদের সরাসরি কিছু বলেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন, আগামীকাল (সোমবার) জাপানের প্রতিনিধিদল কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাবে। তিনি বলেন, ‘আমরা সেখানকার পরিস্থিতি দেখব।’

বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অন্যান্য সহায়তার বিষয়েও আলোচনা হয়। বাংলাদেশে কার্যক্রম চালাচ্ছে এমন প্রায় ৭১ শতাংশ জাপানি কোম্পানি অসন্তুষ্ট, এমন একটি জরিপের ফলাফল সম্পর্কে মত জানতে চাইলে নাকানিশি ইয়োসুকে বলেন, ‘জাপানি বিনিয়োগকারীরা এ দেশে আরও ভালো বিনিয়োগের পরিবেশ চায়। পরশু (মঙ্গলবার) আমরা জাপানি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সভা করব। সেখানে আরও বিস্তারিত শুনব।’

নাকানিশি ইয়োসুকে আরও বলেন, ‘৫০ বছর ধরে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে। এ দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে জাপান সহায়তা করছে। জাপানের সহায়তায় ঢাকা মেট্রোরেল ও হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে। ঢাকা-নারিতা ফ্লাইট চালু হয়েছে, যা দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ ভালো করছে। এখন আমরা বাংলাদেশে ভ্যালু চেইন নিয়ে কাজ করছি।’

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘জাপান আমাদের মেট্রোরেল ও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণে সহযোগিতা করছে। ভবিষ্যতে রেলসহ অন্যান্য খাতে জাপানের পক্ষ থেকে সহায়তা থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।’

এম এ মান্নান আরও বলেন, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় জাপান খুব ভালো করেছে। আমরাও দুর্যোগপ্রবণ দেশ। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আমরা জাপানের কাছে সহায়তা চেয়েছি।’

বৈঠকে পরিকল্পনাসচিব সত্যজিৎ কর্মকার, জাপানের হাউস অব কাউন্সিলর ইমাই ইরিকোসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।