দেশি–বিদেশি আট প্রতিষ্ঠান পেল এইচএসবিসির পুরস্কার

বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসির পক্ষ থেকে তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীদের সঙ্গে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, আমন্ত্রিত অতিথি ও ব্যাংকটির শীর্ষ কর্মকর্তারা। গতকাল রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে।
প্রথম আলো

আমদানি–রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য এইচএসবিসি ‘বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে দেশের আট শিল্পপ্রতিষ্ঠান। বহুজাতিক দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন বা এইচএসবিসি তৃতীয়বারের মতো এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সম্মাননাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

এ বছর মোট আটটি শ্রেণিতে বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে রপ্তানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য পুরস্কৃত হয়েছে তিনটি প্রতিষ্ঠান। আর আমদানি-বিকল্প শিল্পে একটি, অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ ও অবকাঠামো উন্নয়নে অবদানের জন্য একটি, টেকসই উদ্যোগের জন্য একটি এবং নতুন প্রযুক্তি প্রণয়নে অবদানের জন্য একটি করে মোট চারটি প্রতিষ্ঠান পুরস্কার পেয়েছে। এর বাইরে একটি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ পুরস্কার।

রপ্তানি খাতে বছরে পাঁচ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি রপ্তানি আয় করে, এমন শ্রেণিতে পুরস্কার পেয়েছে তৈরি পোশাক খাতের দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হা-মীম গ্রুপ। রপ্তানি খাতের সরবরাহব্যবস্থা ও পশ্চাৎ–সংযোগে এক কোটি ডলারের বেশি আয় করে, এমন শ্রেণিতে পুরস্কার পেয়েছে ইস্পাহানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠান পাহাড়তলী টেক্সটাইল অ্যান্ড হোসিয়ারি মিলস। এ ছাড়া অপ্রচলিত ও উদীয়মান শ্রেণিতে ৩০ লাখ ডলারের বেশি রপ্তানি আয় করে, এমন প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কার জিতেছে ওষুধ খাতের কোম্পানি রেনাটা লিমিটেড।

আমদানি-বিকল্প শিল্পে অবদানের জন্য পুরস্কার পেয়েছে দেশের বেসরকারি খাতের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ। এই প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক উৎপাদিত পণ্যের মূল্যমান এক কোটি ডলারের বেশি। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ ও অবকাঠামো উন্নয়নে অবদানের জন্য গিলডান, টেকসই উদ্যোগ শ্রেণিতে সিনজেনটা বাংলাদেশ এবং নতুন প্রযুক্তি প্রণয়নের জন্য বিকাশ সেরা প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার পেয়েছে। আর বিশেষ পুরস্কার (স্পেশাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড) পেয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান স্কয়ার গ্রুপ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক। এ ছাড়া এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. মাহবুব উর রহমান, হোলসেল ব্যাংকিংয়ের প্রধান জেরার্ড কেভিন হগি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিজয়ীদের মধ্যে হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ, স্কয়ার গ্রুপের পক্ষে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, পাহাড়তলী টেক্সটাইল মিলসের পক্ষে ইস্পাহানি গ্রুপের চেয়ারম্যান মির্জা সালমান ইস্পাহানি, রেনাটার হেড অব ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস কো-অর্ডিনেটর অনন্ত সাহা, গিল্ডানের সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের পরিচালক এডগার ওভেইদো, সিটি গ্রুপের পরিচালক শম্পা রহমান, সিনজেনটা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ, বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা শেখ মো. মনিরুল ইসলাম পুরস্কার গ্রহণ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘সরকার দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যসহায়ক পরিবেশ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে।বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের অন্যতম গন্তব্য হবে বাংলাদেশ, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’