গরমে তরমুজের চাহিদা বেড়েছে, সঙ্গে দাম
ঈদের ছুটি ফুরিয়ে আসছে। এদিকে দেশজুড়ে গরম পড়ছে। তাতে বাজারে রসাল ফল তরমুজের দাম বেড়ে গেছে। ঈদের পরে বাজার এখনো পুরোপুরি না খোলায় চাহিদা থাকলেও তরমুজের সরবরাহে সংকটও আছে, মৌসুমও শেষ হয়ে আসছে। ফলে দাম বেড়েছে। মৌসুমের শেষ দিকে এসে তরমুজের ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকেরা সন্তুষ্ট; যদিও বেশি লাভ করছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
আজ শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও মগবাজার এলাকা ঘুরে এবং ঢাকার বিভিন্ন জায়গার ফল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে জানা গেছে, রোজার মধ্যে কেজিপ্রতি তরমুজের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকায় নেমে এসেছিল। আবার কোথাও আরও আকারভেদে আস্ত তরমুজ বিক্রি হয়েছিল ১৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। ঈদের পরে ঢাকার বাজারে এখন তরমুজের সরবরাহ কম, তাতে কেজিতে দাম ২০ থেকে ৩০ টাকার মতো বেড়েছে। কেজিপ্রতি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। কোথাও দাম আরও বেশি চাওয়া হচ্ছে।
সরবরাহ কম থাকায় তরমুজের দাম বেড়েছে উল্লেখ করে কারওয়ান বাজারের ফল বিক্রেতা রকিবুল ইসলাম বলেন, ঈদে সবকিছু বন্ধ। তরমুজ আসছে কম। বাজারে ক্রেতাও কম। তাতে দাম একটু বাড়তি।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর তরমুজচাষি মিথেল হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘তরমুজের মৌসুম এখন শেষ হওয়ার পথে। মাঠে তরমুজ কম থাকায় দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে। আজ মাঠেই পাইকারিতে ৬ থেকে ৭ কেজি ওজনের প্রতিটি তরমুজ ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করেছি।’
কারওয়ান বাজারে তরমুজের ক্রেতা আনাস উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঈদের আগের দিন কিনলাম ৫০ টাকা কেজি। আজকে সেই একই আকারের তরমুজের দাম চায় ৭০ টাকা কেজি। গরমের দিনে বাচ্চারা তরমুজ পছন্দ করে। এ জন্য দরদাম করে কিনব।’
সাধারণত চৈত্র মাসে প্রচণ্ড গরম থাকে। এবারও তা-ই হয়েছে। তবে আজ শনিবার চৈত্রের বিদায়ের দিনে রোদ ও গরমের তীব্রতা একটু বেশি থাকবে—এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি তাদের আজ সকালের পূর্বাভাসে বলেছে, রাজশাহীসহ ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা আজ বিস্তার লাভ করতে পারে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, এখন যে তাপপ্রবাহ চলছে, তা আরও দুই দিন থাকবে। তারপর ১৬ ও ১৭ এপ্রিল তা সামান্য কমতে পারে। তারপর আবার তাপপ্রবাহ বইতে থাকবে।