রিহ্যাবের সভাপতি ও সহসভাপতি পদে কারা আসছেন
আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) পরবর্তী সভাপতি হতে যাচ্ছেন নির্বাচনকেন্দ্রিক প্যানেল আবাসন ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের দলনেতা ও জাপান গার্ডেন সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান। গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি সর্বোচ্চ ২৪৮ ভোট পেয়েছেন।
রিহ্যাবের সভাপতি ও সহসভাপতি পদের নির্বাচনপ্রক্রিয়া আজ বুধবার শুরু হয়েছে। সভাপতি পদে একমাত্র প্রার্থী হয়েছেন মো. ওয়াহিদুজ্জামান। ফলে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
রিহ্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ২৯। এর মধ্য থেকে একজন সভাপতি, একজন জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও পাঁচজন সহসভাপতি হন।
জানা গেছে, আজ বুধবার জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি পদে মনোনয়ন কিনেছেন ব্রিকস ওয়ার্কস ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী ভূঁইয়া। তিনি ২২০ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে সহসভাপতি-১ পদেও একমাত্র প্রার্থী হয়েছেন হাভেলি প্রপার্টি ডেভেলপমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ আউয়াল। তিনি পেয়েছেন ১৬৩ ভোট। এই পদগুলোতে একজন প্রার্থী থাকায় ভোটের প্রয়োজন হবে না। তাঁরা দুজনও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে যাচ্ছেন।
সহসভাপতি-২ পদে প্রার্থী হয়েছেন আক্তার প্রপার্টিজের এমডি মোহাম্মদ আক্তার বিশ্বাস ও পদ্মা হোমসের এমডি সুরুজ সরদার। এ ছাড়া সহসভাপতি-৩ পদে প্রার্থী হয়েছেন ন্যাচারাল রিয়েল এস্টেটের চেয়ারম্যান দেওয়ান নাসিরুল হক ও বেসিক বিল্ডার্সের এমডি আবদুল লতিফ। নির্বাচিত পরিচালকেরা এই দুটি পদে আজ বৃহস্পতিবার ভোট দেবেন।
এ ছাড়া সহসভাপতি (অর্থ) পদে আরমা রিয়েল এস্টেটের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক ও সহসভাপতি পদে আর এফ বিল্ডার্সের এমডি দেলোয়ার হোসেন প্রার্থী হয়েছেন। এই দুটি পদেও ভোট লাগবে না।
রাজধানীর খামারবাড়ীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত রিহ্যাব নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। এতে ৪৭৬ জন ভোটারের মধ্যে ৪০৯ জন ভোট দিয়েছেন। ভোট পড়েছে প্রায় ৮৬ শতাংশ।
রিহ্যাবের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে ২৯ পদের মধ্যে ২৫টিতে জয়ী হয়েছে আবাসন ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ। এই প্যানেলের লিডার বা দলনেতা মো. ওয়াহিদুজ্জামান সর্বোচ্চ ২৪৮ ভোট পান। হামিদ রিয়েল এস্টেট কনস্ট্রাকশনের এমডি ইন্তেখাবুল হামিদের নেতৃত্বাধীন জয় ধারা প্যানেলের তিনজন প্রার্থী জয়ী হন। এ ছাড়া ডেভেলপারস ফোরাম প্যানেলের একজন জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে নব জাগরণ প্যানেলের কেউ জেতেননি। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও কেউ জয়ের মুখ দেখেননি।