যুক্তরাষ্ট্রের ডাও জোনস সূচক থেকে ছিটকে গেল আদানি এন্টারপ্রাইজস
বিপদ যখন আসে চারদিক থেকেই আসে। ভারতের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি এখন হাড়ে হাড়ে তা টের পাচ্ছেন। এবার নতুন খবর হলো, যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার সূচক এস অ্যান্ড পি ডাও জোনসের সাসটেইনেবিলিটি সূচক থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে আদানি গোষ্ঠীর মালিকানাধীন কোম্পানি আদানি এন্টারপ্রাইজসকে।
মূলত গতকাল শুক্রবার আদানি এন্টারপ্রাইজসের শেয়ারের দর কমার কারণে ডাও জোনস সূচকের পতন হয়। তার জেরে আদানি এন্টারপ্রাইজেসকে সূচক থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে। খবর সিএনবিসির
ডাও জোনসের এক লাইনের নোটিশে বলা হয়েছে, ‘আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হিসাবরক্ষণসংক্রান্ত জালিয়াতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যে মিডিয়া ও স্টেক হোল্ডার বিশ্লেষণ করা হয়েছে, তার জেরে আদানি এন্টারপ্রাইজেসকে ডাও জোনসের সাসটেইনেবিলিটি সূচক থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে।’
আদানি এন্টারপ্রাইজস বেশি দিন আগে এই সূচকে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর এই সূচকে স্থান পায় তারা। এ বিষয়ে গৌতম আদানির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে সিএনবিসি। কিন্তু তিনি তাতে সাড়া দেননি।
এস অ্যান্ড পি গ্লোবালের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বিনিয়োগকারীরা এই সূচক মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহার করেন। এটা দেখে বিনিয়োগকারী বিনিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। বিনিয়োগকারীরা এর ভিত্তিতে কোম্পানিগুলোকে টেকসই হওয়ার পরামর্শ দেন।
মোট ৬১টি খাতের কোম্পানির সূচক নির্ধারণ করা হয় এই ডাও জোনস সাসটেইনেবিলিটি ইনডাইসেসে। সে জন্য কোম্পানিগুলোকে প্রশ্নমালা দেয় তারা।
সূচক পতনের জের
শুক্রবার ভারতের শেয়ারবাজারে আদানি এন্টারপ্রাইজসের শেয়ারের দাম ১০ শতাংশ কমে যায়। এই পরিস্থিতিতে আদানি পাওয়ার, আদানি গ্রিন এনার্জি, আদানি টোটাল গ্যাস (যার ৩৭.৪ শতাংশ শেয়ার ফরাসি কোম্পানি টোটাল এনার্জির হাতে) ও আদানি ট্রান্সমিশনের শেয়ার কেনাবেচা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। এরপর তা আবার চালু হলেও পতন ঠেকানো যায়নি। সামগ্রিকভাবে আদানি গোষ্ঠীর ওই কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর পড়েছে ৫ শতাংশেরও বেশি। আর তার অভিঘাতে রাতে পতন ঘটে ডাও জোনস সূচকের।
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিনডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদনের জেরে গত ১০ দিনে গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি গোষ্ঠীর বাজার মূলধন কমেছে মোট ১১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৯ লাখ ৭৩ হাজার ৪০১ কোটি টাকা)। সব মিলিয়ে গত এক সপ্তাহে আদানির ক্ষতির পরিমাণ আকাশছোঁয়া।