৫ লাখ টাকা পর্যন্ত রেমিট্যান্স এলে তাৎক্ষণিক নগদ সহায়তা
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রবাসী আয়ে (রেমিট্যান্স) মন্দা দূর করতে যাচাই ছাড়া আয় আনার পরিমাণ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে প্রবাসীদের পাঠানো ৫ হাজার ডলার বা ৫ লাখ টাকা আয় কোনো যাচাই–বাছাই ছাড়া ২ শতাংশ নগদ সহায়তা পাবে। আগে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনো যাচাই–বাছাই ছাড়া নগদ সহায়তা দিয়ে আসছিল সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংক আজ এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, প্রবাসী আয় গ্রহণকারীদের বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স প্রেরণের বিপরীতে দেড় লাখ টাকার বেশি আয়ের ক্ষেত্রে ১৫ দিনের মধ্যে কাগজপত্র রেমিট্যান্স প্রদানকারী ব্যাংক শাখায় দাখিল করতে হয়। বর্তমানে সার্বিক অবস্থায় গ্রাহকের সুবিধা বিবেচনা করে প্রতিবারে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ডলার অথবা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থ প্রেরণের জন্য কাগজপত্র ছাড়াই প্রণোদনা সুবিধা প্রযোজ্য হবে। এর বেশি আয় এলে ১৫ দিনের মধ্যে নথিপত্র দাখিল করার বাধ্যবাধকতা শিথিল করে ২ মাস পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। এ সুবিধা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।
এর ফলে যেকোনো পরিমাণ আয় এলে ২ মাস পর্যন্ত সময় নিয়ে ব্যাংক শাখায় নথিপত্র দাখিল করা যাবে।
বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়াতে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। সেই অনুযায়ী, ১ জুলাই থেকে প্রবাসীরা প্রতি ১০০ টাকার বিপরীতে ২ টাকা প্রণোদনা পাচ্ছেন। বাজেটে এ জন্য ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। এর ফলে প্রবাসী আয় আসা বেড়ে গিয়েছিল। এখন তাতে আঘাত করেছে করোনাভাইরাস।
করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে অনেক দেশেই লকডাউন চলছে। এর মধ্যেও দেশের বাইরে থাকা বাংলাদেশিরা আয় (রেমিট্যান্স) পাঠানো অব্যাহত রেখেছেন। গত এপ্রিলে প্রবাসীরা ১০৮ কোটি ১০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যার পরিমাণ বাংলাদেশি টাকায় ৯ হাজার ১৮৮ কোটি টাকা।
সারা দেশের ব্যাংক শাখা, এজেন্ট ব্যাংকিং, মোবাইলে আর্থিক সেবা (এমএফএস) ও এনজিওদের মাধ্যমে তা পৌঁছে যাচ্ছে সুবিধাভোগীদের কাছে। গত মার্চের পুরো সময়ে এসেছিল ১২৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলার ও গত বছরের এপ্রিলে এসেছিল ১৪৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার। সে হিসাবে আয় কমেছে, তবে ডলার পাঠানো অব্যাহত রেখেছেন প্রবাসীরা, বিশেষত শ্রমিকেরা। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে প্রবাসী আয়ের এসব তথ্য পাওয়া গেছে।