আজ ১৪ অক্টোবর, বিশ্ব মান দিবস। ১৯৪৬ সালের এই দিনে লন্ডনের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বিশ্বের ২৫টি দেশের প্রতিনিধিরা সমবেত হয়ে পণ্য ও সেবার মান নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাপী একটি একক প্ল্যাটফর্ম গঠন করেন। মূলত পণ্যসেবার মান উন্নয়ন বজায় রাখার প্রতি কর্তৃপক্ষ, উদ্যোক্তা ও ভোক্তাদের সচেতন করার উদ্দেশ্যেই দিবসটি পালন করা হয়। এবারের বিশ্ব মান দিবসের প্রতিপাদ্য ‘প্রোটেক্টিং দ্য প্লানেট উইথ স্ট্যান্ডার্ডস’।
বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষে প্রথম আলো ও বিএসআরএমের বিশেষ আয়োজন ‘উন্নয়ন সুরক্ষায় মান’।
অনলাইন ভিত্তিক এই আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন ডিজাইন প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ সোবহান, ইউএপির ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এম শামিম জেড বসুনিয়া, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. কে এম আমানত, সতত আর্কিটেকচার ফর গ্রিন লিভিংয়ের প্রিন্সিপাল আর্কিটেক্ট মো. রফিক আজম।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন সেন্টার ফর হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইঞ্জিনিয়ারের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদেক।
বিএসআরএম নিবেদিত ‘উন্নয়ন সুরক্ষায় মান’ অনুষ্ঠানে ভূমিকম্প সহনীয় স্থাপনা নির্মাণে মানসম্মত রডের ব্যবহার, পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইয়ের ভূমিকা, পরিবেশবান্ধব সবুজ স্থাপত্য নির্মাণচর্চায় মানের কী ভূমিকা থাকতে পারে, টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ গঠন এবং তাতে রেইনফোর্স কংক্রিটের ব্যবহার, স্টিলের মান উন্নয়ন এবং উন্নয়ন সুরক্ষায় মানের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিশ্বায়ন ও শিল্পায়নের জন্য বিশ্বব্যাপী পণ্য ও সেবার একক এবং নির্দিষ্ট মান বজায় রাখা অপরিহার্য।
আলোচনার মাধ্যমে চারটি সুপারিশ উঠে আসে। এগুলো হলো—
১. টেকসই উন্নত বাংলাদেশ গড়তে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আন্তর্জাতিক মান বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় মান নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ করার দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে।
২। বিএসটিআইয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ প্রয়োজনে বুয়েট ও অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে বিএসটিআইয়ের সহযোগী সংস্থা হিসেবে কাজে লাগানো যেতে পারে।
৩। পণ্যের মানই শুধু নয়, সঙ্গে সঙ্গে সেবা ও দক্ষতার মানকেও উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে।
৪। টেকসই সবুজ উন্নয়ন নিশ্চিত করতে মানসহ সংশ্লিষ্ট সব ক্ষেত্রে বিচক্ষণ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
‘উন্নয়ন সুরক্ষায় পণ্য ও সেবার মান উন্নয়ন নিশ্চিত হোক, বিশ্ব মান দিবসের প্রতিপাদ্য অনুসারে মান উন্নয়নের মাধ্যমেই আমাদের পৃথিবীর সুরক্ষা হোক’—এই আশাবাদের মধ্য দিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান শেষ হয়।