সম্পদে পরিণত করতে হবে বর্জ্যকে: এফবিসিসিআই
বিশ্বে এখন এক শিল্পের বর্জ্য আরেক শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এমনকি কোনো পণ্য ব্যবহারের পরও তা ব্যবহৃত হচ্ছে অন্য পণ্য তৈরির উপকরণ হিসেবে। এ প্রক্রিয়া সার্কুলার ইকোনমি বা বৃত্তাকার অর্থনীতি হিসেবে পরিচিত। টেকসই অর্থনীতির জন্য বাংলাদেশকেও বৃত্তাকার অর্থনীতির পথে যেতে হবে।
গতকাল রোববার এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘বৃত্তাকার অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি: সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা উঠে এসেছে। এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ সুজাউদ্দিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, অনানুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে অনেক কাজ হচ্ছে। তারপরও বৃত্তাকার অর্থনীতি নিয়ে কাজ করতে তাঁর মন্ত্রণালয়ে একটি আলাদা সেল গঠন করা হবে। এই সেল সরকারি-বেসরকারি সংগঠনের সঙ্গে কাজ করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ৪০ শতাংশ প্লাস্টিক পুনঃপ্রক্রিয়াজাত হচ্ছে। বাকি ৬০ শতাংশও এর আওতায় আনতে হবে।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, পণ্য ব্যবহারের পর বর্জ্য সংরক্ষণ ও পুনঃপ্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়। এর ফলে কার্বন নিঃসরণ কমে, দূষণের হাত থেকে রক্ষা পায় পরিবেশ। তাই টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের কার্যকর হাতিয়ার হচ্ছে বৃত্তাকার অর্থনীতি।
পুনঃপ্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে প্লাস্টিক-বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর করছে যুক্তরাষ্ট্র—এ কথা উল্লেখ করে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, নির্মাণশিল্প, টেক্সটাইল, মোটর গাড়ি, কৃষি, আসবাব, তেল ও গ্যাস, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতকে এ অর্থনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ আছে।
প্রবন্ধে বলা হয়, যে হারে প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার হচ্ছে, তাতে কয়েক বছরের মধ্যে মূল্যবান বিভিন্ন খনিজের মজুত শেষ হয়ে যাবে। তবে পুনঃ ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে এ বিপর্যয় রোধ করা সম্ভব। ওই বিবেচনা থেকেই এখন বৃত্তাকার অর্থনীতির দিকে এগোনো দরকার।