২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে রেলসেতু হবে

যমুনা নদীর ওপর বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরালে আরেকটি রেলসেতু হবে। মূলত পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে রেলপথে পণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে এ সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ রুটে সহজে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনেও এ সেতুটি কাজে লাগবে। এ জন্য ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান বঙ্গবন্ধু সেতুর রেলপথে ওজন সীমাবদ্ধতার কারণে ভারী পণ্যবাহী ট্রেন চলতে পারে না। এ সেতুতে ট্রেনও পূর্ণ গতিতে চলতে পারে না। এ প্রকল্পে জাপানের উন্নয়ন সহযোগিতা প্রতিষ্ঠান জাইকা ৭ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা দেবে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। সম্পূর্ণ স্টিল দিয়ে এ সেতুটি নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের সমীক্ষা শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

এ প্রকল্পটিসহ গতকালের একনেকে ১ লাখ ৫২ হাজার ৭১২ কোটি টাকার মোট ১২টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।

একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো ১ লাখ ১৩ হাজার ৯৩ কোটি টাকার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, ২ হাজার ১০৮ কোটি টাকার স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম, ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো ও গবেষণা সক্ষমতা শক্তিশালীকরণ, ২১৬ কোটি টাকার জাতীয় ডাইজেস্টিভ ডিজিজেস রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল স্থাপন, ২০ হাজার ৫০১ কোটি টাকার ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ, ১ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার চট্টগ্রাম-ফেনী-বাখরাবাদ গ্যাস সঞ্চালন সমান্তরাল পাইপলাইন নির্মাণ, ১ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকার বাংলাদেশ (ভেড়ামারা)-ভারত (বহরমপুর) বিদ্যমান গ্রিড আন্তসংযোগের ক্ষমতা বর্ধিতকরণ (৫০০ মেগাওয়াট), ৭৭৬ কোটি টাকার আনোয়ারা-ফৌজদারহাট গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন প্রকল্প, ৭৩২ কোটি টাকার সমগ্র দেশে শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ, ৬১৯ কোটি টাকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও আবাসিক ভবন নির্মাণ এবং ৭১৬ কোটি টাকার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বন্যা ও জলাবদ্ধতা ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাসমূহের উন্নয়ন এবং নালা, প্রতিরোধ দেয়াল, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ প্রকল্প।