চিকিৎসকদের জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ফ্রন্টলাইনারস পেল প্রথম বিনিয়োগ
চাকরির বিজ্ঞপ্তি, মেডিকেল কেস নিয়ে আলোচনা, ক্লিনিকে ডিউটি খোঁজাসহ চিকিৎসকদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পেশাগত বিষয়ের নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম ফ্রন্টলাইনারস প্রি-সিড পর্যায়ে প্রথম বিনিয়োগ পেয়েছে। আট কর্মী নিয়ে পথ চলা মেডিকেল স্টার্টআপটি তাদের সেবাগুলোর উন্নয়ন ও বিকাশ নিয়ে বর্তমানে কাজ করছে। মুঠোফোন অ্যাপ ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এসব সেবা দেওয়া হয়।
প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সালমান রহমানের মতে, এই বিনিয়োগ দেশের চিকিৎসকদের জন্য তাদের ডিজিটাল পরিষেবা সম্প্রসারণে সহায়তা করবে। ‘দেশের ফ্রন্টলাইনের যোদ্ধাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলোকে নেটওয়ার্কিং অ্যাপের আওতায় এনে তাঁদের জীবনকে সহজ করতেই ফ্রন্টলাইনারস অ্যাপের শুরু’—বললেন সালমান রহমান। ফ্রন্টলাইনারস তাদের প্রথম বিনিয়োগের পরিমাণ প্রকাশ করেনি।
কেবল চিকিৎসকদের জন্য এমন ডিজিটাল সেবা খুব একটা নেই বলে জানালেন সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম খান। তাঁর মতে, ‘এই করোনা অতিমারির সময় আমরা আমাদের ফ্রন্টলাইনারদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে দেখেছি। তাঁদের পেশাগত জীবনকে সহজ করার জন্যই ফ্রন্টলাইনারস কাজ করছে।’ চিকিৎসক, বিশেষ করে নবীন চিকিৎসকদের দেশের হেলথ নেটওয়ার্কের সঙ্গে সঠিকভাবে যুক্ত করতে পারলে তা শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবাকেই উন্নত করবে বলে দাবি করেন শফিকুল।
ফ্রন্টলাইনারসের প্রি-সিড পর্যায়ে বিনিয়োগে নেতৃত্ব দিয়েছেন ডব্লিউপি ডেভেলপার, এআরকমের প্রতিষ্ঠাতা ও এনজেল বিনিয়োগকারী এম আসিফ রহমান। ফ্রন্টলাইনারস টেকনোলজিসে বিনিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্যসেবাকে ক্রমাগত উন্নত করার জন্য, চিকিৎসক, বিশেষ করে তরুণ চিকিৎসকদের জন্য স্মার্ট ও ডিজিটাল সেবা প্রদানকারী কোনো উদ্যোগের অনেক প্রয়োজন।’ চিকিৎসকদের প্রয়োজনমাফিক ডিজিটাল সেবা প্রদান করে ফ্রন্টলাইনারস এ ক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা করেন। অন্য বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ডব্লিউপি ডেভেলপারের প্রধান নির্বাহী নাজমুল হাসান মনে করেন, ‘পরিকল্পনামাফিক এগোতে পারলে ভবিষ্যতে এটি ডাক্তারদের জন্য একটি সুপার অ্যাপে পরিণত হবে।’
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ফ্রন্টলাইনারস নেটওয়ার্ককে মানবিক ও কার্যকর করার জন্য বিনিয়োগের অর্থ কাজে লাগানো হবে। এ তথ্য জানিয়ে প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা বাশার ভূঁইয়ার ধারণা, অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের জটিল কেসগুলোর তথ্য ও উপাত্ত তরুণ চিকিৎসকের কাজে সহজে তুলে ধরা গেলে সেটি তাদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
এ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে চিকিৎসকদের মধ্যে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়েরও একটি সহজ মাধ্যম গড়ে উঠবে বলে তিন সহপ্রতিষ্ঠাতা আশা প্রকাশ করেন।