'হংসবলাকা' আনতে বিমানের ৩২ জন যুক্তরাষ্ট্রে, দেশে আসছে শনিবার
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সংবলিত দ্বিতীয় ড্রিমলাইনার ‘হংসবলাকা’ দেশে আসছে কাল শনিবার। গত ২৯ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে এভারেট ডেলিভারি সেন্টারে বিমানের কাছে মালিকানা হস্তান্তর করে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং।
নতুন উড়োজাহাজটি বুঝে নিতে বিমানের পর্ষদের সদস্যসহ ৩২ জন যুক্তরাষ্ট্র গেছেন। সিয়াটল থেকে রওনা দিয়ে ‘হংসবলাকা’ শনিবার বিকেল সাড়ে চারটায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবে।
আজ শুক্রবার বিমানের ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাছমিন আকতারের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন ড্রিমলাইনার বুঝে নিতে বিমান পরিচালনা পর্ষদ, নির্বাহী পরিচালক ও কর্মকর্তাসহ ৩২ জন যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। এর মধ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, সংসদ সচিবালয়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও অর্থায়নকারী ব্যাংকের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
‘হংসবলাকা’ নিয়ে বিমানবহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৫টি। বিরতিহীনভাবে ১৫ ঘণ্টা বিমানটি চালিয়ে দেশে নিয়ে আসবেন চার জন পাইলট।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ২০০৮ সালে মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন বিমান কিনতে দুই দশমিক ১ বিলিয়ন ইউএস ডলাররে চুক্তি করে। এই দশটির মধ্যে বিমান বহরে যুক্ত হয়েছে ছয়টি উড়োজাহাজ। প্রথম ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘আকাশবীণা’ ১৯ আগস্ট দেশে আসে। চারটি ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের নাম পছন্দ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাকি দুটি ড্রিমলাইনারের নাম হলো ‘গাঙচিল’ ও ‘রাজহংস’। এই দুটি উড়োজাহাজ ২০১৯ সালে বিমান বহরে যুক্ত হবে।
ড্রিমলাইনারে আসনসংখ্যা ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাসে আসন রয়েছে ২৪টি, বাকি ২৪৭টি আসন ইকোনমি ক্লাসের। বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা আরমদায়কভাবে বিশ্রাম নিতে পারবেন। ড্রিমলাইনারে ৪৩ হাজার ফুট উচ্চতায় যাত্রীরা ওয়াই-ফাই সুবিধা পাবেন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে হংসবলাকা বাণিজ্যিক ফ্লাইট শুরু করতে পারে বলে জানিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।