'ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় রাসায়নিক কারখানা করা অপরাধ'
পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহত হওয়ার ঘটনার জন্য অবৈধ কারখানার মালিকদের দায়ী করেছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
আজ শনিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘যাঁরা এখানে অবৈধ ফ্যাক্টরি করেছেন, তাঁরাই সবচেয়ে বেশি দায়ী। ফ্যাক্টরি করে আন্ডারগ্রাউন্ডে কেমিক্যাল রেখেছেন। এখানে কোনো ফ্যাক্টরি করার আইন নেই।’
বুধবার রাতে চকবাজারের চুড়িহাট্টা গলির ওয়াহেদ ম্যানশন ও এর সামনের সড়কে আগুনে পুড়ে ৬৭ জন মানুষের মৃত্যু হয়। বিকেল পাঁচটার পর প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা পুড়ে যাওয়া ভবনগুলো ঘুরে দেখেন।
পরে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিলিন্ডার গ্যাসকে বলে এলপিজি গ্যাস। এগুলো ঘনবসতি জায়গায় রাখার ঝুঁকি আছে। এ ব্যাপারে একটা কমিটি হয়েছে। কমিটি আমাদের একটা সুপারিশ দেবে। মাসখানেকের মধ্যেই এই প্রতিবেদন হাতে পাব বলে আশা করছি।’
ভারতের মহানগরগুলোয় (মেট্রোপলিটন সিটি) এলপিজি গ্যাস বন্ধ করে দিয়ে নতুন পাইপলাইন করছে জানিয়ে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের তো গ্যাসের সমস্যা আছে। গ্যাসের সরবরাহ যদি বাড়ে, তাহলে অবশ্যই আমরাও এই চিন্তাটা মাথায় রাখব। ঘনবসতি জায়গায় যদি কোনো রকম আগুন হয়, তখন এলপিজি গ্যাস আগুনের সংস্পর্শে এলে সেখানে দুর্ঘটনা ঘটনার আশঙ্কা থাকে।’
ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় রাসায়নিক কারখানা করা অপরাধ মন্তব্য করে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘এতগুলো মানুষের প্রাণহানি হলো। চকবাজারের বাসিন্দারা রাসায়নিক কারখানার মালিকদের চিহ্নিত করে প্রশাসনকে জানাতে পারেন। সাধারণ মানুষের সহযোগিতা ছাড়া তো কিছু করা সম্ভব নয়। আশা করি সাধারণ মানুষ সহযোগিতা করবেন। এই শিল্পটা অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।’
নিমতলীর ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা আমরা নিয়েছি কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘আমরা নিমতলী অগ্নিকাণ্ড থেকে শিক্ষা নিইনি বললে হবে না। এ ঘটনার পর আমরা তখন ভালোভাবে দেখেছি ইলেকট্রিক লাইন থেকে কিছু হয়েছিল কি না। দেখেছি গ্যাসের কারণে কিছু হয়েছিল কি না। নিমতলীর ঘটনার পর সবাইকে কিন্তু বলা হয়েছিল, আপনারা কেমিক্যাল ফ্যাক্টরিগুলো সরিয়ে নিন। এগুলো দাহ্য পদার্থ। একটা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যেখানে শিল্পনগরী গড়ে তোলা হবে।’