'উচ্চপর্যায়ের' তদন্ত চায় গণজাগরণ মঞ্চ
কর্মীদের ওপর ‘হামলার’ ঘটনায় সরকারের উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটির দাবি জানিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ। আজ শুক্রবার বিকেলে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার এ দাবি করেন। ইমরান বলেন, ‘পুলিশ ও পেটোয়া বাহিনীর যুগপত্ মারমুখী আচরণে’ তাঁরা ক্ষুব্ধ, বিস্মিত। তাঁরা মনে করেন, লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা কর্মসূচিতে ইসলামী ব্যাংকের অনুদান গ্রহণ করার প্রতিবাদ করায় ‘সরকার ও তাদের পেটোয়া বাহিনী’ গণজাগরণ মঞ্চের প্রতি খড়্গহস্ত হয়েছে। ইমরান বলেন, সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা জামায়াত-শিবির চক্র মঞ্চের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে। নিজেদের কর্মীদের ওপর হামলা প্রসঙ্গে ইমরান বলেন, ‘থানার ভেতর আক্রমণ করেও যারা পার পেয়ে যান, সেই একই থানার পুলিশ কর্মকর্তারা কী তদন্ত করবেন, সেটা সহজেই অনুধাবনযোগ্য। তবুও আমরা সরকারের ওপর থেকে আস্থা না হারিয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
এ সময় তিনি ‘যুদ্ধাপরাধী নির্মূলের রূপরেখা ও গণজাগরণ মঞ্চের ৬ দফা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
ঘোষণা অনুযায়ী, পয়লা বৈশাখ সকাল নয়টায় যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লা কর্তৃক নির্যাতিত মিরপুরের আলোকদী গ্রামের অধিবাসীদের সঙ্গে বৈশাখী শুভেচ্ছা বিনিময় ও বেলা তিনটায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সন্ধ্যা সাতটায় প্রদীপ প্রজ্বালন।
১৮ এপ্রিল ছয় দফা বাস্তবায়নের দাবিতে এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দীর্ঘসূত্রতার প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন বেলা তিনটায় শাহবাগে সমাবেশ করবেন তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন কোনো হামলা-মামলা-চক্রান্ত করে থামানো যাবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন ইমরান। তিনি বলেন, ‘সকল প্রকার উসকানির মুখেও আমরা সর্বোচ্চ সংযম দেখিয়ে আন্দোলনের মূল লক্ষ্যে স্থির থাকব।’