৩২ হাসপাতালের ৬৫ যন্ত্র অচল, অব্যবহৃত

যন্ত্র অচল ও অব্যবহৃত

  • ৩৮টি এক্স-রে

  • ৯টি আলট্রাসনোগ্রাফি

  • ৬টি অটোক্লেভ

  • ৫টি অ্যাম্বুলেন্সও অচল হয়ে আছে

  • ৫টি অস্ত্রোপচারকক্ষও ব্যবহৃত হচ্ছে না

দীর্ঘদিন নষ্ট হয়ে পড়ে আছে আলট্রাসনোগ্রাফি যন্ত্র। সম্প্রতি ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে
ছবি: আলীমুজ্জামান

করোনাকালে চিকিৎসক-নার্সদের কাজকে আরও কঠিন করে তুলছে হাসপাতালে নষ্ট, অব্যবহৃত যন্ত্রের দীর্ঘ তালিকা। দেশের অন্তত ৩২টি হাসপাতালে ৬৫টি যন্ত্র দীর্ঘদিন ধরে অচল ও অব্যবহৃত পড়ে আছে। এগুলোর মধ্যে আছে এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাফি, অ্যানেসথেসিয়া, ল্যাপারোস্কপি, স্টেরিলাইজার, অটোক্লেভ, ডায়াথার্মিসহ অন্যান্য সরঞ্জাম। ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ চিকিৎসাসুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলার সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, কিছু যন্ত্র নষ্ট। আর কিছু যন্ত্র লোকবলের অভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। হাসপাতালগুলোতে ৩৮টি এক্স-রে, ৯টি আলট্রাসনোগ্রাফি, ৬টি অটোক্লেভ, ৩টি ডায়াথার্মি, ২টি স্টেরিলাইজার, ৫টি অ্যানেসথেসিয়া, ১টি ল্যাপারোস্কপি ও ১টি এমআরআই যন্ত্র অচল অথবা অব্যবহৃত অবস্থায় আছে। ৫টি অ্যাম্বুলেন্সও আছে অচল হয়ে। ব্যবহৃত হচ্ছে না পাঁচটি অস্ত্রোপচারকক্ষও। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এসব যন্ত্র সচল হয়নি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ফরিদ হোসেন মিয়া গত শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, যন্ত্রপাতি নষ্ট হলে তা মেরামত করে একমাত্র রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নিমিউ (ন্যাশনাল ইলেকট্রো–মেডিকেল ইকুইপমেন্ট মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার)। আর মেরামত সম্ভব না হলে তা বদলে নতুন যন্ত্র স্থাপনের কথাও নিমিউ জানায়। তাই কোনো হাসপাতাল থেকে যন্ত্র নষ্টের তথ্য পেলেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নিমিউকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। নিয়মিতভাবেই বিভিন্ন হাসপাতালে যন্ত্র মেরামত ও নতুন স্থাপনের কাজ চলছে।

বেসরকারি হাসপাতালে যন্ত্রপাতি অচল বা অব্যবহৃত থাকতে দেখা যায় না। সরকারি হাসপাতালে এমন ঘটে উদ্যোগের অভাবে, আন্তরিকতার অভাবে, সমন্বয়ের অভাবে।
অধ্যাপক রশীদ-ই-মাহবুব সাবেক সভাপতি, বিএমএ

এক্স-রে

ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে তিনটি করে মোট ছয়টি এক্স-রে যন্ত্র অচল পড়ে আছে। দুটি করে মোট ১৪টি এক্স-রে যন্ত্র অচল আছে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতাল এবং ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও নগরকান্দা, সুনামগঞ্জের ধরমপাশা, লক্ষ্মীপুরের কমলনগর ও পাবনার ফরিদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এর মধ্যে ২১ বছর ধরে এক্স-রে যন্ত্র নষ্ট হয়ে আছে সুনামগঞ্জের ধরমপাশা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ৯ বছর ধরে দুটি এক্স-রে যন্ত্র নষ্ট কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন বলেন, যন্ত্রপাতি ঠিক করতে নিমিউ এবং লোকবলের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

একটি করে মোট ১৮টি এক্স-রে যন্ত্র অচল পড়ে আছে ফরিদপুর বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, জেলার চরভদ্রাসন, সদরপুর, বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী; পাবনার ভাঙ্গুড়া ও আটঘরিয়া, চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও সাতকানিয়া; সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, ফেনীর সোনাগাজী, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর ও রামগতি, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, বড়লেখা ও রাজনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এর মধ্যে ফেনীর সোনাগাজী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে যন্ত্র অচল ১৫ বছর ধরে।

এক্স-রে যন্ত্র নষ্ট থাকার কারণে দুর্ভোগের কথা জানান লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এক্স-রের প্রয়োজন হলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করা যায় না। রামগতি থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্মীপুর জেলা শহরে গিয়ে এক্স-রে করাতে হয়।

ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার মাফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সম্প্রতি আমার করোনা হয়। বুকেও সমস্যা ছিল। এ জন্য চিকিৎসক আমাকে বুকের এক্স-রে করাতে বলেন। কিন্তু ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে আমি এক্স-রে করাতে পারিনি।’

এ বিষয়ে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, ফরিদপুরের এক্স-রে যন্ত্রগুলো সচল করতে নিমিউকে বলা হয়েছে। টেকনিশিয়ানের শূন্য পদগুলো পূরণ করতে একাধিকবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।

এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাফি, অ্যানেসথেসিয়াসহ নানা যন্ত্র নষ্ট। সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ চিকিৎসাসুবিধা থেকে বঞ্চিত।

আলট্রাসনোগ্রাফি

নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে দুটি এবং রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল, সুনামগঞ্জ সদর ও ধরমপাশা, পাবনার আটঘরিয়া ও ফরিদপুর, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও ফেনীর সোনাগাজী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি করে সাতটিসহ মোট নয়টি আলট্রাসনোগ্রাফি যন্ত্র অচল পড়ে আছে। এর মধ্যে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ৯ বছর ধরে নষ্ট আলট্রাসনোগ্রাফি যন্ত্র। আর নড়াইল আধুনিক হাসপাতালে দুটি আলট্রাসনোগ্রাফি যন্ত্র দুই বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে না।

এ ছাড়া রেডিওলজিস্ট না থাকায় নড়াইল আধুনিক হাসপাতালে এবং অপারেটর না থাকায় সুনামগঞ্জ সদর, সাতকানিয়া ও সোনাগাজী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আলট্রাসনোগ্রাফি যন্ত্র ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

সুনামগঞ্জের ধরমপাশা সদর ইউনিয়নের নতুন পাড়া গ্রামের মো. এনামুল হক বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে বলা হয় এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাফি যন্ত্র বন্ধ। এসব যন্ত্র চালু করলে কম খরচে এখানকার মানুষ পরীক্ষা করাতে পারত।

ধরমপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. এমরান হোসেন বলেন, এ সমস্যার বিষয়ে সিভিল সার্জনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি জানান, চট্টগ্রামের প্রায় প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আলট্রাসনোগ্রাফি, এক্স-রে ও অ্যানেসথেসিয়া যন্ত্র আছে। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে লোকবলের অভাব আছে। তবে কয়েকটি উপজেলায় কর্মরত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা মাঝেমধ্যে শূন্য পদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে গিয়ে যন্ত্রগুলো চালু রাখার পাশাপাশি রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ করছেন। তিনি আরও বলেন, ‘যেসব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লোকবলসংকট, সেসব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লোকবল নিয়োগের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। যতটুকু জেনেছি, ইতিমধ্যে শূন্য পদগুলোতে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।’

অন্যান্য যন্ত্রপাতি

নড়াইল আধুনিক হাসপাতালে ছয়টি অটোক্লেভ, তিনটি ডায়াথার্মি, চারটি অ্যানেসথেসিয়া যন্ত্র ও চারটি অস্ত্রোপচারকক্ষের টেবিল নষ্ট অবস্থায় আছে। অবেদনবিদ না থাকায় চট্টগ্রামের সাতকানিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি অ্যানেসথেসিয়া যন্ত্র এবং অপারেটর না থাকায় সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে একটি ল্যাপারোস্কপি যন্ত্র ব্যবহার করা যায় না।

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে দুটি স্টেরিলাইজার নষ্ট অবস্থায় পড়ে আছে। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে নষ্ট আছে একটি এমআরআই যন্ত্র।

নড়াইল সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক মো. আসাদ-উজ-জামান মুন্সী বলেন, ‘রেডিওলজিস্ট না থাকায় দুটি আলট্রাসনোগ্রাফি যন্ত্র ব্যবহার করা যাচ্ছে না। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কোন যন্ত্রগুলো মেরামতযোগ্য আর কোনগুলো মেরামতযোগ্য নয়, তার তালিকা করব। এরপর মেরামতযোগ্য যন্ত্রগুলো সারানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’ জানা গেছে, বেশির ভাগ যন্ত্র কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি) থেকে দেওয়া। এগুলো তারা পাঠিয়ে দিয়ে চালু করতে আর আসে না।

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘লোকবলের অভাবই এখন বড় সমস্যা। আমরা প্রতি মাসের প্রতিবেদনেই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাচ্ছি। শুনেছি, টেকনিশিয়ান পদে লোক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। নষ্ট যন্ত্র ঠিক করতে এনইএমইডব্লিউকে জানানো হয়েছে।’

অস্ত্রোপচারকক্ষ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লোকবলের অভাবে দুটি আধুনিক অস্ত্রোপচারকক্ষ ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নোমান মিয়া বলেন, ‘আমি দুই বছর আগে এখানে যোগদান করেছি। এ সময়ের মধ্যে এখানে কোনো অন্তঃসত্ত্বা নারীর অস্ত্রোপচার হয়নি।’

আনোয়ারা ও জগন্নাথপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি করে অস্ত্রোপচারকক্ষ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এর মধ্যে প্রায় ১৫ বছর ধরে চট্টগ্রামের আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অস্ত্রোপচারকক্ষটি ব্যবহার করা যায় না। দুটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, লোকবলের অভাবে অস্ত্রোপচারকক্ষ দুটি বন্ধ।

বগুড়ার ধুনট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি অস্ত্রোপচারকক্ষও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাসানুল হাছিব বলেন, অস্ত্রোপচারকক্ষের নষ্ট যন্ত্রপাতি মেরামত করতে সিভিল সার্জনের মাধ্যমে নিমিউকে চারবার চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো কাজ হয়নি।

অ্যাম্বুলেন্স

পাবনার ফরিদপুর ও সুনামগঞ্জের ধরমপাশা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুটি ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট। ধরমপাশার অ্যাম্বুলেন্সটির ইঞ্জিন ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। বগুড়ার ধুনটে চালক না থাকায় দুটি অ্যাম্বুলেন্স পড়ে আছে। নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে একটি অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট।

পাবনার ফরিদপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মেহেদী হাসান বলেন, উপজেলার অধিকাংশ গ্রামই দুর্গম এলাকায়। বর্ষায় পানিতে ডুবে থাকে। ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সটি খুব জরুরি। কিন্তু সেটি পড়ে থাকায় নষ্ট হচ্ছে।

ফরিদপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মীর ওমর ফারুক বলেন, ‘আমরা চাই হাসপাতালে সব সেবা চালু থাকুক। কিন্তু লোকবলের অভাবে সেটা হচ্ছে না। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি অব্যবহৃত থাকছে।’

পাবনার সিভিল সার্জন মনিসর চৌধুরী জানান, ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সের বিষয়ে তাঁর জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে সেটি চালুর বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন।

যন্ত্র অচল ও অব্যবহৃত থাকার ঘটনাগুলো নতুন নয়। বৈদ্যুতিক সংযোগ না থাকার কারণে যন্ত্র পড়ে থাকে, টেকনিশিয়ান না থাকার কারণে যন্ত্র চিকিৎসার কাজে লাগে না। কিছু ক্ষেত্রে স্থানীয় কর্মকর্তাদের আন্তরিক উদ্যোগের অভাবে এমন ঘটে। কিছু ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগও পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক রশীদ–ই–মাহবুব প্রথম আলোকে বলেন, বেসরকারি হাসপাতালে যন্ত্রপাতি অচল বা অব্যবহৃত থাকতে দেখা যায় না। সরকারি হাসপাতালে এমন ঘটে উদ্যোগের অভাবে, আন্তরিকতার অভাবে, সমন্বয়ের অভাবে। গত কয়েক দশকে স্বাস্থ্যখাতে যে দুর্বৃত্তায়ণ ঘটেছে তারই পরিণতিতে রোগীর চিকিৎসায় না লেগে বছরের পর বছর যন্ত্রপাতি অচল ও অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকে।


(সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা থেকে প্রতিবেদনের তথ্য পাঠিয়েছেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা)