২০৫০ সালের মধ্যে দুই কোটি মানুষ জলবায়ু বাস্তুচ্যুত হবে
২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে দুই কোটি মানুষ জলবায়ুর কারণে বাস্তুচ্যুত হবে। এদের দায়িত্ব জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী দেশগুলোকে নিতে হবে।
গতকাল শনিবার রাজধানী ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে কোস্ট ট্রাস্টের উদ্যোগে এবং ১২টি অধিকারভিত্তিক নাগরিক সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘জলবায়ুতাড়িত বাস্তুচ্যুতি: মানবিকতা ও অধিকার প্রেক্ষিত’ শীর্ষক ওই সেমিনারে বক্তারা তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের মানবিকতা-বিষয়ক আসন্ন বিশ্ব সম্মেলনে এই জলবায়ুতাড়িত বাস্তুচ্যুতির বিষয়টি বিশেষভাবে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
পল্লি কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের নিজের সমস্যা নিজে সমাধান করার মতো সক্ষমতা আছে, কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুতি বিষয়টি বৈশ্বিক তাপমাত্রার কারণে তৈরি হচ্ছে। ফলে বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তুলে ধরতে হবে।
সেমিনারে জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক সমন্বয় সংস্থা ইউএনওচার বিশেষ জজ জেরিমি ওয়ার্ড বলেন, মানবিকতা-বিষয়ক আসন্ন বিশ্ব সম্মেলনের দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত আলোচনায় বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল বলেন, বাংলাদেশ যেহেতু জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী নয়, কিন্তু এর দ্বারা প্রভাবিত, তাই আসন্ন সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল জলবায়ুতাড়িত বাস্তুচ্যুতির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মিজ সোফি অবার্ট বলেন, বিশ্বব্যাপী জলবায়ু বাস্তুচ্যুত হচ্ছে মানুষেরই ভুলের কারণে, এটা আসলে প্রাকৃতিক কোনো ঘটনা নয়।
আতিক রহমান বলেন, ধনী দেশগুলো যেহেতু কার্বনের অতি উদ্গিরণের জন্য প্রধানত দায়ী, তাই জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি তাদের বিবেচনা করা উচিত।
সেমিনারটির সহ-আয়োজক পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন, বিপনেটসিসিবিডি, বিসিজেএফ, সিসিডিএফ, ক্লিন, সিজিসি, সিডিপি, সিএসআরএল, এফইজেবি, ইক্যুইটিবিডি ও কোস্ট ট্রাস্ট।