২,১৫৫টি ক্রিকেট মাঠের সমান, চার রেকর্ড
পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে ২ হাজার ৬৯৩ দশমিক ২১ হেক্টর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) তথ্য অনুযায়ী, একটি আদর্শ ক্রিকেট মাঠের আয়তন গড়ে ১ দশমিক ২৫ হেক্টর। অর্থাৎ, পদ্মা সেতুর জন্য অধিগ্রহণ করা জমি ২ হাজার ১৫৫টি ক্রিকেট মাঠের সমান। এসব জমি অধিগ্রহণের কারণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৯২। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে নগদ টাকা এবং ২ হাজার ৬০৬টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
পদ্মা সেতুর আলোয় ক্রিকেট ম্যাচ
পদ্মা সেতুতে মোট ল্যাম্পপোস্ট বা বাতি বসানোর খুঁটি আছে ৪১৫টি। ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হলেও এসব ল্যাম্পপোস্টের কোনো ক্ষতি হবে না। প্রতিটি পোস্টের ওজন ২৭৫ কেজি ও দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ২ মিটার। ল্যাম্পপোস্টে বসানো হয়েছে ১৭৫ ওয়াটের এলইডি বাতি। পদ্মা সেতুতে বসানো বাতিগুলো একটি মোটামুটি আকারের ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বসানো হলে দিবারাত্রির ম্যাচ চালানো যাবে।
এক সেতু, চার রেকর্ড
সেতু বিভাগ বলছে, পদ্মা সেতুতে বিশ্ব রেকর্ড হয়েছে চারটি।
১. প্রকল্পে তিন মিটার ব্যাসের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্যের স্টিল পাইলের ব্যবহার করা হয়েছে। এসব পাইল সর্বোচ্চ ১২৫ দশমিক ৫ মিটার গভীরে বসানো হয়েছে, যা আগে কখনো হয়নি।
২. সবচেয়ে লম্বা স্টিলের স্প্যান বসানো হয়েছে, যার দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। প্রতিটি স্প্যানের ওজন ৩ হাজার ২০০ টন।
৩. সেতুটি ভূমিকম্প সহনীয় করতে সর্বোচ্চ ক্ষমতার ডাবল কারভেচার ফ্রিকশন পেন্ডুলাম বিয়ারিং ব্যবহার করা হয়েছে। এত শক্তিশালী বিয়ারিং আর কোনো সেতুতে ব্যবহার হয়নি বলে জানিয়েছে সেতু বিভাগ।
৪.চতুর্থ রেকর্ডটি হলো—নদীশাসন কাজের একক সর্ববৃহৎ দরপত্র। সেতুর সুরক্ষায় নদীশাসন করা হয়েছে ১৪ কিলোমিটার। ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা। এই কাজ করেছে চীনের সিনো হাইড্রো করপোরেশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বিশ্বে শুধু নদীশাসনের জন্য এককভাবে এত টাকার দরপত্র আর আহ্বান করার নজির নেই।