২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

১০ হাজার টাকায় ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধার’ ভুয়া সনদ, গ্রেপ্তার ৪

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

১৯৭১ সালে তাঁরা ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’ ছিলেন বলে সনদ দিচ্ছিল রাজধানীর কাঁটাবনের একটি কম্পিউটারের দোকান। ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের’ ভুয়া সনদ তৈরির অভিযোগে সোমবার রাতে গাউসুল আজম সুপার মার্কেটের নিউ ওয়ার্ল্ড ফ্রেন্ডস কম্পিউটার নামে একটি দোকান থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে নিউমার্কেট থানা-পুলিশ।

তাঁদের মধ্যে দুজন ভুয়া সনদ তৈরির কথা স্বীকার করে গতকাল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁরা হলেন আবদুল হাকিম (৫৩) ও দোকানমালিক জামাল মিয়াজী (৪৮)। একই অভিযোগে গ্রেপ্তার আরও দুজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তাঁরা হলেন মুজাহিদ মিয়া (২৯) ও সফিউর বারী (১৯)। এই দুজন ওই কম্পিউটার দোকানের কর্মচারী। আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ১০ হাজার টাকায় ’৭১–এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট তৈরি করে আসছিল এই চক্রের সদস্যরা।

মামলার কাগজপত্র এবং নিউমার্কেট থানা-পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার রাত সোয়া নয়টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই দোকানে অভিযান চালায় পুলিশ। প্রথমে সেখান থেকে গ্রেপ্তার হন আবদুল হাকিম। তাঁর বাড়ি রংপুর নগরের জুম্মাপাড়া সুইপার কলোনিতে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, রংপুরের জনৈক আমীর আলি ফকির এই নকল ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ তৈরির জন্য হাকিমকে ঢাকায় পাঠান। আর কম্পিউটার দোকানমালিক জামাল মিয়াজী ১৮টি ভুয়া সনদ তৈরি করে দেন। ওই সনদে লেখা ছিল, ‘৭১–এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ, সহযোগী মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র।’

এ ঘটনায় জালিয়াতির অভিযোগে নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা হয়েছে। নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ম কাইয়ুম প্রথম আলোকে বলেন, অনেক দিন ধরেই ওই দোকানে এ রকম ভুয়া সনদ তৈরি হচ্ছিল। একেকটি ভুয়া সনদের জন্য ১০ হাজার টাকা করে আদায় করতেন দোকানের মালিক।