হোটেল শ্রমিকদের ছাঁটাই, বেতন কাটা বন্ধের দাবি
করোনা মহামারির এই দুঃসময়ে শ্রমিক ছাঁটাই ও মজুরি কাটার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন হোটেল রেস্টুরেন্ট ও সুইটমিটস শ্রমিকেরা। তাঁরা ছাঁটাই ও মজুরি কটা বন্ধ করা এবং আর্থিক প্রণোদনার দাবি করেছেন।
বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ শনিবার বিকেলে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে পুরানা পল্টন মোড় থেকে তোপখানা রোডে বিক্ষোভ মিছিল করেন ফেডারেশনের নেতা কর্মীরা।
শ্রমিক সমাবেশ থেকে সারা দেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ধর্ষকদের শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।
সভায় শ্রমিক নেতারা বলেন,বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারিতে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিপর্যয় নেমে এসেছে। এই সংকটকে পুঁজি করে দেশে হোটেল রেস্টুরেন্ট বেকারি শ্রমিকদের ব্যাপক ভাবে ছাঁটাই করা এবং তাদের মজুরি কেটে নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে সব শ্রেণির শ্রমিকদের মধ্যে হোটেল-রেস্টুরেন্ট-বেকারি শ্রমিকেরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত । এই শ্রমিকেরা সবচেয়ে কম মজুরিতে কাজ করেন। এসব শ্রমিক অধিকাংশ ক্ষেত্রে— কাজ করলে মজুরি, কাজ না করলে নেই, এই ভিত্তিতে কাজ করেন।
লকডাউনের নামে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় হোটেল-বেকারি শ্রমিকেরা একেবারে উপার্জনহীন হয়ে পড়েন। কর্মস্থল থেকে তাদের খালি হাতে ফিরে যেতে হয়। সরকারি ভাবে কোনো প্রণোদনা, কোনো আর্থিক সহযোগিতা তারা পাননি। সরকার শ্রমিকদের জন্য যে ৭৬০ কোটি টাকা প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছেন, হোটেল শ্রমিকেরা তা থাকে কিছুই পাননি।
মহামারি পরিস্থিতিতে লাখ লাখ হোটেল শ্রমিক কাজ হারিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধাহার-অনাহারে অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছে।
এই পরিস্থিতিতে শ্রমিক নেতারা নিম্ন বেতনের এই শ্রমিকদের সরকারি আর্থিক প্রণোদনা প্রদান, ছাঁটাই বন্ধ, চাকরিতে বহাল ও বেতন কাটা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
ফেডারেশনের সহ সভাপতি আক্তারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সহসভাপতি শ্যামল কুমার ভৌমিক, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম, হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, বেকারি শ্রমিক ইউনিয়নের মহানগর সভাপতি সলেমান মল্লিকসহ অনেকে।