হিযবুত তাহরীরের ছয়জনের বিষয়ে রায় পিছিয়েছে

হিযবুত তাহরীরের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক মহিউদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়েছে। গতকাল বুধবার রায় ঘোষণার তারিখ ছিল। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে দেন। আগামী ১৩ জানুয়ারি রায় ঘোষণার নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে। এর আগে আরও চারবার রায় ঘোষণার তারিখ পেছানো হয়।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, রায় লেখা প্রস্তুত না হওয়ায় নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে। এর আগেও চারবার রায় ঘোষণার দিন পেছানোর বিষয়ে তিনি বলেন, সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনাল গঠনের আগে মামলাগুলো বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন ছিল। ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর পর মামলাগুলো নিয়ে নতুন করে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে।

অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন—হিযবুত তাহরীরের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক মহিউদ্দিন, যুগ্ম সমন্বয়ক কাজী মোরশেদুল হক প্লাবন, হিযবুত তাহরীরের সদস্য তানভীর আহম্মেদ, সাইদুর রহমান, আবু ইউসুফ আলী ও তৌহিদুল আলম। গতকাল তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরে তাকওয়া মসজিদের পশ্চিম পাশে হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশের কিছু সদস্য জড়ো হন। তাঁরা সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হামলা করে জনজীবনে আতঙ্ক সৃষ্টির পরিকল্পনা করেন। উত্তরা থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করেন এবং তাদের কাছ থেকে সরকারবিরোধী লিফলেট, পেট্রল বোমা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে উত্তরা থানা-পুলিশ। ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তদন্ত শেষে হিযবুত তাহরীরের প্রধান সমন্বয়ক মহিউদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর এ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ ১৬ সাক্ষীর মধ্যে সাতজন সাক্ষী উপস্থাপন করেছে।