জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘আইন কারও হাতে তুলে নেওয়ার এখতিয়ার নেই। আইনকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দিতে হবে। এই হারকিউলিস কোথা থেকে এল, কীভাবে এল। আমি মনে করি রাষ্ট্রের দায়িত্ব রয়েছে, পুলিশের দায়িত্ব বের করা—তাঁরা কারা?’
আজ দুপুরে রাজধানীর তোপখানা সড়কের সিরডাপ মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাজী রিয়াজুল হক এসব কথা বলেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও করণীয়’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার ভান্ডারিয়া গ্রামে ১ ফেব্রুয়ারিতে পরিত্যক্ত ইটভাটার পাশে উদ্ধার হয় রাকিব মোল্লার (২০) মৃতদেহ। তাঁর গলায় সাদা কাগজে লেখা একটি চিরকুট লেখা ছিল, ‘আমি পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার...(অমুকের) ধর্ষক রাকিব। ধর্ষকের পরিণতি ইহাই। ধর্ষকেরা সাবধান- হারকিউলিস।’ রাকিব মোল্লা একই উপজেলার মাদ্রাসাছাত্রী (১৩) ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। এরপরই ‘হারকিউলিস’ বিষয়টি নিয়ে তুমুল আলোচনা হয়। মানবাধিকারকর্মীরা বিচারবহির্ভূত হত্যা বলে এ ধরনের ঘটনার সমালোচনা করেন। তাঁরা রাষ্ট্রীয় বিচারের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি দাবি করেন।
আজ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানও বিচারবহির্ভূত হত্যা দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর ভূমিকা পালন করার তাগিদ দেন। কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘কেউ অপরাধ করলে অপরাধীকে নিশ্চয়ই শাস্তি দিতে হবে। তাকে চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং দৃশ্যমান করতে হবে। কিন্তু তার অর্থ এই না যে অপরাধী বা অভিযুক্ত ছিল তাকে কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে আবার আইনের ব্যত্যয় ঘটাবে।’
রিয়াজুল হক বলেন, ‘এই আইনবহির্ভূত হত্যার জন্য কারা দায়ী, সেটা বের করার দায়িত্ব রাষ্ট্র, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।’
মতবিনিময় সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার প্রমুখ বক্তব্য দেন।