হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি সড়কে যান চলাচল এখনো বন্ধ

হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি সড়কে মাদ্রাসা ছাত্রদের অবস্থান।
ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রামের হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি সড়কে যান চলাচল এখনো বন্ধ রয়েছে। সেখানে মাদ্রাসার ছাত্ররা অবস্থান করছে। সড়কের ওপর থাকা বাঁশের ব্যারিকেড এখনো সরানো হয়নি। এতে দুর্ভোগে পড়েছে ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা নাজিরহাট, খাগড়াছড়ি ও রামগড়ের যাত্রীরা। গতকাল শুক্রবার বেলা আড়াইটা থেকে বন্ধ রয়েছে সড়কটি। আজ শনিবার সকাল ১০টায়ও দেখা গেছে সড়কটি বন্ধ।

হাটহাজারী বাজারের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অতিরিক্ত আড়াই শ র‍্যাব, পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া বিজিবির ১০০ সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।

হাটহাজারী থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) কবির উদ্দিন সকাল ১০টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, যান চলাচল এখনো স্বাভাবিক হয়নি। এর বেশি কিছু বলতে অপারগতা জানান তিনি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় ধর্মভিত্তিক দলগুলোর নেতা-কর্মী ও মুসল্লিদের একাংশের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এর প্রতিবাদে দুপুরে বিক্ষোভে নামেন হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্ররা। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ছাত্রসহ চারজন নিহত হন। পরে ছাত্ররা হাটহাজারী-নাজিরহাট সড়ক অবরোধ করেন। চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে শুক্রবার রাতে হেফাজত নেতাদের দুই দফা বৈঠকের পর সড়ক ছেড়েছেন মাদ্রাসার ছাত্ররা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা সড়ক অবরোধ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই বৈঠকের সময় হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ছাত্রদের মাদ্রাসায় ফেরার আহ্বান জানান। এরপর সড়ক থেকে মাদ্রাসায় ফিরে যান তাঁরা।

গতকাল বিকেল থেকে সড়ক অবরোধ থাকায় খাগড়াছড়ি, নাজিরহাট, ফটিকছড়ির বাসিন্দাদের শহরে আসতে ভোগান্তি হয়। গাড়ি আটকে যাওয়ায় অনেকে পায়ে হেঁটে হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড এসে গাড়িতে ওঠেন। আবার অনেকে ভেতরের রাস্তা দিয়ে (কামালপাড়া সড়ক) দিয়ে বাসস্ট্যান্ড আসেন।

হাটহাজারী–খাগড়াছড়ি সড়কে পুলিশের অবস্থান।
ছবি: প্রথম আলো

গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে মফিজুল ইসলাম নামের বেসরকারি এক কর্মকর্তাকে পরিবারসহ পায়ে হেঁটে হাটহাজারী থানার সামনে দিয়ে যেতে দেখা যায়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শনিবার চাকরিতে যেতে হবে। পরিবার নিয়ে বন্ধের দিন গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়ি গেছেন। বিকেলে হাটহাজারী সড়কের কাটিরহাটে আটকা পড়েন। কিছু পায়ে হেঁটে আর কিছু গাড়িতে করে এত দূর এসেছেন।