হাটবাজারের ভাঙাগড়া, কমছে কৃষকের সুযোগ

কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র হাটবাজার। দিন দিন পুরোনো হাটবাজারের সংখ্যা কমছে। গড়ে উঠছে স্থায়ী দোকান, ব্যবসাকেন্দ্র।

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা সদরের হাটে এক যুগ আগেও ফাঁকা জায়গা ছিল বেশ খানিকটা। সেখানে কৃষকেরা ধান, আলু, পাট, সবজিসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে আসতেন, বিক্রি করতেন। এখনো তাঁরা আসেন। কিন্তু হাটে এখন সরাসরি তাদের পণ্য বিক্রির সুযোগ কমে এসেছে। হাটের জায়গায় গড়ে উঠেছে স্থায়ী দোকানপাট। বাধ্য হয়ে কৃষকেরা আড়তদারের কাছে পণ্য বিক্রি করে দেন। আবার অনেকে পণ্য নিয়ে বসেন হাটসংলগ্ন তারাগঞ্জ-কিশোরগঞ্জ সড়কের পাশে, কখনো সড়কের ওপর। এতে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের।

তারাগঞ্জের হাটে নিয়মিত পণ্য নিয়ে আসেন চিকলী গ্রামের মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘রইদোত পুড়ি ফসল ফলাই। ফের হাটোত আসি রইদোত পুড়ি রাস্তাত দাঁড়ে ফসল বেচাই। হামার জন্যে হাটোত আনার জাগা দেয় না, যেটে শান্তিতে বসি খেতের ফসল বেচপার পামো।’

তারাগঞ্জ হাট রংপুর জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় হাট। প্রতি সোম ও শুক্রবার তারাগঞ্জে হাট বসে। প্রতিদিন বসে বাজার। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাবিনা ইয়াছমিন বলেন, হাটের মোট জমির তিন ভাগের আড়াই ভাগেই অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে আধা পাকা দোকানঘর। এতে কৃষকেরা বিতাড়িত হয়ে সড়কের পাশে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

হাটবাজার হলো কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গ্রামাঞ্চলে গড়ে ওঠা এসব হাটবাজারের মাধ্যমে উৎপাদনকারীর পণ্য পৌঁছায় ভোক্তার কাছে। এখন পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে যোগাযোগের পরিধি বাড়ায় তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন আধা পাকা স্থাপনার হাটবাজার। হারিয়ে যাচ্ছে পুরোনো হাটগুলো। বিপরীতে প্রতিবছর হাটের খাতে সরকারের রাজস্ব বাড়ছে। তাতে অবশ্য কৃষকের লাভ তেমন হচ্ছে না। উৎপাদক ও ভোক্তার মধ্যে মধ্যস্বত্বভোগীগের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। কৃষকের সরাসরি পণ্য বিক্রির সুযোগ কমে আসায় ফড়িয়াদের এখন পোয়াবারো। এরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। তাই ২ টাকার লেবু ভোক্তার কাছে হয়ে যায় ১০ টাকা, শসা বিক্রি হয় দ্বিগুণ দামে।

তারাগঞ্জ হাটে জায়গা সংকটের কারণে কৃষকেরা তাদের পণ্য নিয়ে বসে তারাগঞ্জ–কিশোরগঞ্জ সড়কের পাশে
ছবি: রহিদুল ইসলাম

হাটবাজার-বৃত্তান্ত

দৈনিক বা সপ্তাহের নির্দিষ্ট কোনো দিন কৃষিপণ্য, ফলমূল, পশু, হাঁস–মুরগি, মাছ-মাংস, দুগ্ধ, দুগ্ধজাতীয় পণ্য বা অন্য যেকোনো পণ্য যেখানে কেনাবেচা হয়, তা–ই হাটবাজার। অর্থনীতির এই প্রাণকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা নিয়ে বাংলাদেশে এখনো কোনো আইন নেই। দেশের হাটবাজার চলে হাট ও বাজার (স্থাপনা ও ব্যবস্থাপনা) অধ্যাদেশ ১৯৫৯ অনুযায়ী। এ–সংক্রান্ত আইনের একটি খসড়া ভূমি মন্ত্রণালয় করেছে। প্রতিটি হাটের দুটি অংশ থাকে। একটি হলো চান্দিনা ভিটি, অন্যটি তোহা বাজার। খসড়া আইনে চান্দিনা ভিটি হলো ‘হাটবাজারের পরিসীমার মধ্যে অবস্থিত অস্থায়ী দোকানপাট।’ আর তোহা বাজার হলো ‘হাটবাজারের পরিসীমার মধ্যে প্রান্তিক উৎপাদকের উৎপাদিত পণ্য ক্রয়-বিক্রির নিমিত্ত সংরক্ষিত অবন্দোবস্তযোগ্য খোলা স্থান।’

দেশে কোথাও কোনো ব্যক্তি হাটবাজার চালু করতে পারে না আইনত। হাটের জায়গাগুলো খাসজমি। এর মালিক ভূমি মন্ত্রণালয়। সেখান থেকে তারা বছরে ইজারা ও খাস আদায়ের বিপরীতে ৫ শতাংশ হারে কর পায়। তবে এসব হাট রক্ষণাবেক্ষণের ভার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের হাতে। আর তাদের হয়ে ইজারা দেবে উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন। হাটবাজারের ইজারা হয় বাংলা সনের ভিত্তিতে (বৈশাখ-চৈত্র)। এক বছরের জন্য বিধি মোতাবেক হাটবাজারের ইজারা দিতে হয়। ইজারা কার্যক্রম পূর্ববর্তী বছরের ২০ চৈত্রের মধ্যে শেষ করতে হয়।

হাট হারাচ্ছেন প্রান্তিক কৃষক

গ্রামীণ হাটবাজার বলতেই সাধারণত বট-পাকুড় বা বড় কোনো গাছের নিচে অথবা নদীর পাড় ঘেঁষে সপ্তাহের কোনো দিনে ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমের কথাই মনে করিয়ে দেয়। নির্দিষ্ট সময়ে মানুষে ভরে যায় সেই এলাকা। খানিকটা উত্সবের মতো পরিবেশ। হাট তো কেবল পণ্য বিকিকিনির স্থান নয়, সপ্তাহান্তের মিলনমেলাও বটে। সন্ধ্যা গড়ালে ভাঙতে থাকে সেই মিলনমেলা। কোনো কোনো দোকানে জ্বলে কুপি। হাটের মানুষ ঘরমুখী হয় একসময়। কিন্তু হাটগুলোর সেই চিত্র এখন বদলে গেছে। হাটের উন্মুক্ত স্থান বলতে এখন প্রায় কিছু নেই। এসব ফাঁকা জায়গায় গড়ে উঠছে অস্থায়ী–স্থায়ী অবকাঠামো।

‘আমরা ঘর নির্মাণের কে। প্রশাসন আছে, তাদের বলেন।’
এম এ তারেক হেলাল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান

মঠবাড়িয়া চর ভোলমারা গ্রামের কৃষক আলম হাওলাদার ৩০ বছর ধরে নিজের খেতে উৎপাদিত সবজি বুধবার হাটের দিন বিক্রি করেন। এটি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা সদরে দক্ষিণ বন্দরের হাট নামে পরিচিত। আলম হাওলাদার বলেন, এ হাটে তোহা বাজার ছিল। সেখানে তাঁরা কৃষিপণ্য বিক্রি করতেন হাটের দিন। এক দশক ধরে তোহা বাজারের স্থানে একশ্রেণির মানুষ পাকা দোকান করেছেন। এখন কৃষকদের বসার জায়গা কমে এসেছে। হাটের দিন সড়কের ওপর পণ্য নিয়ে বসতে হচ্ছে।

প্রভাবশালীদের দখলদারি

সাধারণত যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে হাটের দখল তাদের হাতে। বগুড়ার ধুনট উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ধুনট সদর, গোসাইবাড়ি, মথুরাপুর, হাঁসখালি, এলাঙ্গী, পেঁচিবাড়ি, নাটাবাড়ি, সোনাহাটা, চাপড়া ও জোড়শিমুলে সরকারি হাট আছে। ধুনট সদর, হাঁসখালি, গোসাইবাড়ি, মথুরাপুর ও এলাঙ্গী—এই পাঁচটি হাটে প্রায় তিন একর করে জায়গা ছিল। এর মধ্যে কৃষকদের পণ্য বিক্রির জন্য এক একর জায়গা ছিল (তোহা বাজার)।

প্রায় এক যুগ ধরে সরকারদলীয় নেতা–কর্মীরা ওই সব হাটবাজার ইজারা নিয়ে তোহা বাজারের ফাঁকা জায়গা দখল করে স্থায়ীভাবে আধা পাকা ঘর নির্মাণ করেছেন। এর মধ্যে এলাঙ্গী হাটের তোহা বাজারে ৩০টি ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন এলাঙ্গী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ তারেক হেলাল।

এম এ তারেক হেলাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ঘর নির্মাণের কে। প্রশাসন আছে, তাদের বলেন।’

হাটের ফাঁকা জায়গায় যে অবৈধ স্থায়ী কাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে, তা স্বীকার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত। তাঁর কথা, ‘কিছু জায়গা দখল হয়ে আছে। আমরা একটি পরিকল্পনা করছি এসব উচ্ছেদের। আগামী বছর থেকে হাটের নিলামের পরই এ কাজ করব আমরা।’

হাটে দখলদারি দেশের সার্বিক সুশাসনের ঘাটতির একটি উদাহরণ বলে মনে করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আগে বাজারে পণ্য বিক্রি করে অনেক মানুষ আয় করত। এখন বাজার নিয়ন্ত্রণই কিছু মানুষের আয়ের অন্যতম উৎস হয়ে গেছে। এতে আখেরে ভুগছে সাধারণ মানুষ।’

ফরিদপুর সদর উপজেলার চর মাধবদিয়া ইউনিয়নের আফজাল মণ্ডলের গরুর হাটটি ২০২০ সালে ৫৫ হাজার ১০০ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়। গত বছর ওই হাটের ইজারামূল্য ওঠে ৯৬ লাখ ১ হাজার ১০০ টাকা। এক বছরের মধ্যে ইজারামূল্য বেড়ে হয় ১৭৪ গুণ।

অভিযোগ আছে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এখানকার দরপত্র ও ইজারা নিয়ন্ত্রণ করতেন ফরিদপুর সদরের সাংসদ খন্দকার মোশাররফ হোসেনের অনুসারীরা। গত বছর ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বাড়িতে হামলার ঘটনায় করা মামলায় খন্দকার মোশাররফের অনুগত অনেকে গ্রেপ্তার হন। খন্দকার মোশাররফের সাবেক এপিএস এ এইচ এম ফোয়াদের পৃষ্ঠপোষকতায় ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতা মিলে হাটটির পত্তন করেন। এই হাটের ইজারার সময় দ্বিতীয় কাউকে দরপত্র জমা দিতে দেওয়া হয়নি।

হাটের ভাঙাগড়া

দেশে ইজারাকৃত হাটবাজারের সংখ্যা দিন দিন কমছে। বাড়ছে ইজারাবিহীন হাটবাজার। প্রতিবছর নিলামের মাধ্যমে ইজারামূল্য নির্ধারিত হয়। আর ইজারাবিহীন হাটে নিলাম হয় না, খাস আদায় করা হয়। অর্থাৎ সরাসরি সরকারি নিয়ন্ত্রণে কর আদায় হয়।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে ইজারাকৃত হাটবাজারের সংখ্যা ৭ হাজার ৩৪৮। আর ইজারাবিহীন হাটবাজার ২ হাজার ৬৪৫টি। এর আগের বছরে ইজারাকৃত হাটবাজার ছিল ৭ হাজার ৫০৪টি আর ইজারাবিহীন ২ হাজার ৫৯৪টি।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ব্যবসায় ও বিপণন বিভাগের অধ্যাপক সালাহউদ্দিন পলাশ মনে করেন, গ্রামে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি, নগরায়ণের ফলে নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি হচ্ছে।

‘হাটে কৃষকের সুযোগ কমে আসা পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির একটি কারণ হতে পারে। এ বিষয় নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিত। আমাদের নীতি আলোচনা ও গবেষণার ক্ষেত্রে গ্রাম এখন প্রাধান্য হারিয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতির বড় ক্ষেত্র হাটবাজারের নানামুখী পরিবর্তন গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হতে পারে।’
হোসেন জিল্লুর, অর্থনীতিবিদ

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) হিসাব অনুযায়ী, ১৯৯০ সালে গ্রামীণ পাকা সড়ক ছিল ৮ হাজার ৬৭০ কিলোমিটার। ২০১০ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭২ হাজার ৪৬০ কিলোমিটার। আর ২০২২ সালে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার কিলোমিটার।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, ‘আমাদের পুরোনো হাটবাজারগুলো কমে যাচ্ছে। এর কারণ স্থায়ী অবকাঠামো তোলার ফলে অনেক উৎপাদনকারী নতুন বাজারে ঢুকছে।’

অবশ্য পুরোনো হাটবাজার কমে এলেও সরকারের রাজস্ব বাড়ছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে হাট থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৪৮১ কোটি ২৬ লাখ টাকার বেশি। গত বছর অর্থ আদায় বেড়ে হয় ৫৬৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বেশি।

হাটবাজার থেকে আয় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে প্রদীপ কুমার দাশের মন্তব্য, গরু ও ছাগলের বিকিকিনি বেড়েছে। সেখান থেকে হাটের আয়ের বড় অংশ আসে। আবার নতুন নতুন বাজার বৃদ্ধিও একটা কারণ। কিন্তু আয় বাড়লেও প্রান্তিক কৃষকের হাটে যাওয়ার সুযোগ কমছে।

হাটবাজার থেকে আয় বৃদ্ধির আরেকটি কারণ হলো, দিন দিন হাটের ইজারার পরিমাণ বৃদ্ধি। এই ইজারার টাকা তোলা হয় হাটে আসা বিক্রেতাদের কাছ থেকে। জায়গা স্বল্পতার পাশাপাশি, অতিরিক্ত কর আদায় কৃষকদের হাটবাজার–বিমুখতার একটি বড় কারণ বলে মনে করা হয়।

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা সদরের দক্ষিণ বন্দরের হাটে তোহা বাজারে গড়ে উঠেছে স্থায়ী দোকানপাট
ছবি: এ কে এম ফয়সাল

বাড়ছে দ্রব্যমূল্য

মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর ইউনিয়নের ইছাখাদা হাট বসে সোম ও বৃহস্পতিবার। মাগুরা-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশেই এ হাট। হাটের খোলা জায়গা বলতে এখন কিছু নেই। সবখানে স্থাপনা হয়ে গেছে। কৃষকেরা গ্রাম থেকে পণ্য নিয়ে এসে স্থায়ী দোকানিদের কাছে তা বেচে দেন। এরপর আড়তদারেরা বেশি লাভে পণ্য বিক্রি করেন।

স্থানীয় কৃষি উদ্যোক্তা রবিউল ইসলাম বললেন, এখানে কৃষকদের পণ্য সরাসরি বিক্রি করার মতো পরিবেশ নেই। আড়তদাররাই কিনে নেয় পণ্য। এর প্রভাব পড়ে পণ্যের দামে।

এ হাটে কৃষিপণ্যের বাজার আর কৃষকের হাতে যে নেই সে কথা মানেন হাজরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন।

উৎপাদক কৃষকের হাটে আসার সুযোগ কমে যাওয়ার সঙ্গে মাঠপর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধির সম্পর্ক আছে কি না, প্রশ্নের জবাবে অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর বলেন, ‘হাটে কৃষকের সুযোগ কমে আসা পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির একটি কারণ হতে পারে। এ বিষয় নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিত। আমাদের নীতি আলোচনা ও গবেষণার ক্ষেত্রে গ্রাম এখন প্রাধান্য হারিয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতির বড় ক্ষেত্র হাটবাজারের নানামুখী পরিবর্তন গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হতে পারে।’

[তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন প্রতিনিধি ফরিদপুর, পিরোজপুর, মাগুরা এবং তারাগঞ্জ (রংপুর)ধুনট (বগুড়া)]