হঠাৎ মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি বন্ধ
মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে সেখানে গরু কিনে রাখা ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। পাশাপাশি গরু না আসায় বেড়েছে দামও। এদিকে গতকাল বুধবার জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় কোরবানির আগে করিডর দিয়ে মিয়ানমারের পশু আমদানি বন্ধ রাখার ঘটনায় উদ্বেগ জানান জনপ্রতিনিধিরা।
এ বিষয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তিনি গত মঙ্গলবার থেকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ করিডর দিয়ে মিয়ানমারের পশু আমদানি বন্ধ করেছেন। কারণ, মিয়ানমারের পশু আমদানির কারণে দেশীয় খামারের মালিক ও কৃষকেরা পালিত পশুর ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না।
গতকাল জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা বলেন, করিডর দিয়ে হঠাৎ করে মিয়ানমারের পশু আমদানি বন্ধ করা ঠিক হয়নি। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হবে। বাজারে পশুর সংকটও দেখা দিতে পারে।
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের, মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহানও একই যুক্তি তুলে ধরে করিডর খুলে দেওয়ার প্রস্তাব করেন। জবাবে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
তবে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ওয়াহিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, জেলার ২৬ লাখ মানুষের জন্য এবার কোরবানির পশুর চাহিদা ১ লাখ ৫ হাজার। কিন্তু খামার ও লোকজনের কাছে মজুত আছে ১ লাখ ৮ হাজার পশু। এ ক্ষেত্রে জেলায় কোরবানির পশুর সংকট হবে না।
কক্সবাজারের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের দাবি, উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গা আছে ১১ লাখ ১৯ হাজারের বেশি। তাদের জন্য কোরবানির পশুর চাহিদা আছে অন্তত ৫০ হাজার। ধনাঢ্য রোহিঙ্গারা ইতিমধ্যে স্থানীয় বাজার থেকে পশু কেনা শুরু করে দিয়েছে। ফলে বাজারে পশুর দাম প্রতিটিতে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। সংকট তীব্র হলে পশুর দাম আরও বেড়ে যাবে।