সৎ ও পরিশ্রমী হতে হবে
রুমানা আহমেদ বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের ক্রিকেটার। তিনি বাংলাদেশের সেরা মহিলা অলরাউন্ডারদের মধ্যে অন্যতম। এবার প্রথম আলোকে জানান নিজের সেই পথচলার গল্প।
প্রথম আলো: বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরে আপনার দেখা আপনার ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন গুলো কী কী?
রুমানা আহমেদ: বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। মেয়েদের কাজের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। অর্থনৈতিক সচ্ছলতা বেড়েছে। এখন একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ক্রীড়াক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয়, নারীরা এখন পড়ালেখায় অনেক এগিয়েছে।
নারীর কর্মক্ষেত্রে কী ধরনের পরিবর্তন এসেছে বলে মনে করেন।
রুমানা আহমেদ: কর্মক্ষেত্রেও নারীরা এগিয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনে বর্তমানে নারীর অবস্থান অনেক দৃঢ়। আগে মানুষ ক্রীড়াঙ্গনে মেয়েদের উপস্থিতিকে ভালো চোখে না দেখলেও এখন সেই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এসেছে। আমার মনে হয়, ঠিক একইভাবে অন্য সব ক্ষেত্রেও ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে।
আপনার ক্যারিয়ারের সন্ধিক্ষণ কোনটি ছিল?
রুমানা আহমেদ: আমি বিশ্বাস করি, সততা আর পরিশ্রম দিয়ে সবকিছু অর্জন করা যায়। ছোটবেলা থেকেই আমি এই দুটি বিষয় ভীষণভাবে মেনে চলি। আমার কর্মজীবনেও এটি আমি কাজে লাগিয়েছি। আমার সাফল্যের পেছনে এটি একটি বড় কারণ। ক্রিকেট নিয়েই আমার স্বপ্ন, আমার ক্যারিয়ার। আর এ ক্ষেত্রে টার্নিং পয়েন্ট হচ্ছে ২০১১ সালের ওডিআই স্ট্যাটাস। আমরা যখন এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জায়গা দখল করে নিই, তখন থেকেই আমাদের পথচলা পাল্টে যায়। এর মাধ্যমেই বাংলাদেশের ক্রিকেটে নারীরা একটা অবস্থান তৈরি করে নেয়। এরপর ২০১৮ সালে যখন আমরা এশিয়া কাপ জয় করি, তখন থেকে সবার দৃষ্টিভঙ্গি একেবারেই পাল্টে যায়। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনেও আমরা একটা অবস্থান তৈরিতে সক্ষম হই। এককথায় বলতে গেলে এরপর আর আমাদের পেছনে তাকাতে হয়নি।
এ সময়ে তরুণের প্রতি আপনার পরামর্শ কী?
রুমানা আহমেদ: তরুণ-তরুণীদের বলতে চাই, নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য তাদের পরিশ্রমী ও সৎ হতে হবে। পাশাপাশি সব ক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখতে হবে। হতাশ হওয়া যাবে না। কোনো কাজে বাধা এলে তার সামনে দাঁড়াতে হবে। বাধা পেরিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। তবেই ভালোভাবে এগিয়ে যাওয়া যাবে।